• বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩১
সর্বশেষ :
শীতের আগমনীতে কুমড়া বড়ি দিতে ব্যস্ত সময় পার করছে ডুমুরিয়ার গৃহিণীরা বিছানায় না গেলে পুরুষ বাউলরা প্রোগ্রামে ডাকে না: হাসিনা সরকার কালিগঞ্জের পল্লীতে পানিতে ডুবে করুন মৃ ত্যু হয়েছে দুই শিক্ষার্থীর উপকূলীয় শ্যামনগর, আশাশুনি ইউনিয়ন পরিষদের রূপকল্প ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা কালিগঞ্জ থেকে ভেটখালী পর্যন্ত রাস্তা ৩৪ ফুট প্রশস্ত করার দাবিতে শ্যামনগরে মানববন্ধন ডিজিটাল সহিংসতা প্রতিরোধে শ্যামনগরে র‍্যালি, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন নির্বাচিত হতে পারলে খাজরা ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা ও কোনো কাঁচা রাস্তা : সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দিন ব্রহ্মরাজপুরে দীর্ঘদিন ধরে ওয়ারেশ নিয়ে বিরোধ: অবশেষে আদালতের রায়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি কালিগঞ্জে পলিথিন ও প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে গণশুনানি অনুষ্ঠিত ডুমুরিয়ায় কোটি কোটি টাকার শীতকালীন সবজি উৎপাদন

শ্যামনগর নওয়াবেঁকীতে খোলপেটুয়া নদীর চর দখল করে ভবন নির্মাণ

এস এম মিজানুর রহমান, শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি / ১৪৮ দেখেছেন:
পাবলিশ: রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

শ্যামনগরে আঁটুলিয়া ইউনিয়নের নওয়াবেকী বাজারে পাশে খোলপেটুয়া নদীর চর দখল করে সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও অদৃশ্য কোন এক পাওয়ারে অবৈধ স্থাপনা অব্যাহত রেখেছে আব্দুল আজিজ বাহিনী।

 

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় স্থানীয় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নওয়াবেঁকী বাজার সংলগ্ন এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর চর দখল করে বালু ভরাট করে চলছে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ। নদীর চরে অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশনা সম্বলিত সাইনবোর্ড লাগানো থাকলেও তা মানছে না কেউ।অবৈধ এই দখলপ্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছেন স্থানীয়প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ ও ব্যবসায়ীরা।

 

খোলপেটুয়া নদীর চর দখল করে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রশাসনের লোকজন এসে দেখার পর কয়েকদিন কাজ বন্ধ থাকে। কিন্ত রহস্যজনক কারণে কিছুদিন পর আবারো শুরু হয় ভবন নির্মাণের কাজ। এমন চোর-পুলিশ খেলার মাঝেই নদীর চর দখল করে গড়ে উঠছে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা।

 

বিশেষ করে গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ। তারা প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে অবৈধ এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সচেতন নাগরিক সমাজের অভিমত, সরকারি খাস জায়গার উপর দালান ঘর নির্মাণ করা হলে সরকারের মূল্যবান সম্পত্তি বেহাত হয়ে যাবে। শুধু তাই নই এভাবে সরকারি খাস জায়গার উপর পাকা ঘর নির্মাণ অব্যাহত থাকলে পার্শ্ববর্তী পড়ে থাকা সরকারি খাস জায়গা গুলো প্রভাবশালীর হাতে চলে যেতে পারে। তাই দ্রুত উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সরকারি খাস জায়গা দখলমুক্ত করতে উপজেলা প্রশাসন কে এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন সুশীল সমাজ।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় ব্যাবসায়ী জানান আব্দুল আজিজ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জোরপূর্বক ভাবে সরকারি খাস জায়গা দখল করে রাখলেও সরকারি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রহস্য জনক কারণে নিরব ছিল।

 

সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা অবৈধ স্হাপনা বা পাকা ঘরে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভূমি’র হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা।

 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনি খাতুন বলেন সরকারি জায়গায় খোলপেটুয়া নদীর চর অবৈধ দখল করে পাকা ঘর স্থাপনা তৈরি করলে সেটি উচ্ছেদ করা হবে।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com