সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর মৌজার শাহন ফিস এর ডিড প্রদানকারি মালিকগন আশরাফআলী,মতিয়ার রহমান,আঃ আজিজ সরদার,ওমর আলী সহ একাধিক জমির মালিকগন জানান,মহুরুম আব্দুস ছাত্তার মোড়ল হরিনগর মৌজায় তার জমি সহ আনুমানিক ১২ শত বিঘা জমির উপর শাহন ফিস নামকরণ করে দীর্ঘ বছর ঘের পরিচালনা করে আসছিল। কয়েক বছর পূর্বে তিনি জমির মালিকদের হারির টাকা দিতে ব্যর্থ হলে জমির মালিকগণ তাদের স্ব স্ব জমি ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা করা সহ দুর্বিসহ জীবন যাপন করে।
এমতাঅবস্থায় এ এম সাইদুর রহমান আব্দুস সাত্তার মোড়লকে ৩ কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে প্রকল্পটি দখলে দেয়। কিন্তু শাওন ফিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ১টি টাকাও সাইদুর রহমান সাত্তার মোড়লেকে দেয় নাই। সম্প্রতি সাত্তার মোড়ল মৃত্যুবরণ করায়,সাইদুর রহমান ঘেরটি দখলে নেয়ার জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। এদিকে জমির মালিকগন হারির টাকা না পেয়ে তাদের স্ব স্ব জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে আসছে। এমতা অবস্থায় মহরম ছাত্তার মোড়লের পুত্র সালাউদ্দীন শাহন ও তাহমিদ সায়েদ চয়ন এর ২ জনের নামে জমির মালিকগন ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হারির টাকা নগত বুঝে পেয়ে স্ব-ইচ্ছায় ৫ বছরের ডিড প্রদান করছেন।
এ বিষয়ে সালাউদ্দিন শাহন এর মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, প্রকৃত জমির মালিকদের নিকট থেকে ডিড নেওয়া হচ্ছে। তবে কোন প্রকল্পের নাম এখনো দেওয়া হয়নি। ডিড মালিকদের পক্ষে, ডিড গ্রনকারী আলমগীর হোসেন জানান, বিগত ৪ দিন যাবত শ্যামনগর হরিনগর বাজারে বসে জমির মালিকদের নিকট থেকে ডিড সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৬ শত বিঘা জমি ডিড সংগ্রহ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাইদুর রহমান জানান, প্যান্ডামিক ফিসারিজ লিমিটেড মৎস্য প্রকল্পের নাম দিয়ে , প্রতিষ্ঠানটি জয়েন্ট স্টক কোম্পানী কর্তৃক রেজিস্ট্রিকৃত, প্রকল্পটি শ্যামনগর উপজেলা মৎস্য অফিস এবং মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত। সম্প্রতি একই এলাকার কতিপয় ব্যক্তি ও শাওন হোসেন মোড়ল অবৈধভাবে জোর পূর্বক প্রজেক্টটি দখলের অপচেষ্টা করছেন।
সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল কাশেম জানান, প্রজেক্ট প্রতিষ্ঠাতা মেসার্স শাওন ফিস কর্তৃপক্ষ জমির হারীর টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় ডিডের শর্ত ভঙ্গ করায় ঐ লীজ ডিড বাতিল হয়। বর্তমানে জমির মালিকগন নতুন করে ডিড দিচ্ছে আর টাকা নিচ্ছে। এখানে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
https://www.kaabait.com