• মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১২
সর্বশেষ :
বালিথায় গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে এক ব্যক্তির আ’ত্ম’হ’ত্যা শ্যামনগরে কপ৩০ পূর্ববর্তী আঞ্চলিক সংলাপ অন্তর্ভুক্তিমূলক জলবায়ু পদক্ষেপে নতুন প্রত্যাশা কে’য়া’ম’তের দিন মানুষ নিজের তিন পাশে যা দেখতে পাবে তালার মাগুরা ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত ডুমুরিয়ায় পূবালী ব্যাংকের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন আশাশুনিতে দৈনিক সাতক্ষীরার সকালের ৩য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন জুলাই সনদের ভিত্তিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে : মিয়া গোলাম পরওয়ার শিক্ষকদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিলেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব ফয়জুল্যাপুর ফ্রেন্ডস ক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন ধানদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন

সুন্দরবনে দুই মাস পর কাঁকড়া ধরার পাস পারমিটের অনুমতি পেলেন জেলেরা

এস এম মিজানুর রহমান, শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি / ১২০ দেখেছেন:
পাবলিশ: শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫

সুন্দরবনে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এ দুই মাসকে বন গভেষকদের মতে কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। এ সময়টায় সুন্দরবনের নদী-খালে কাঁকড়া আহরণ সরকারিভাবে নিষিদ্ধ থাকায় সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরার ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে শুক্রবার।

 

শনিবার (১ মার্চ) সকাল থেকে বনবিভাগ জেলেদের কাঁকড়া আহরনের মারমিট (অনুমতিপত্র) দেওয়া শুরু করেছে, যার মাধ্যমে তারা আবার সুন্দরবনের নদী-খালে কাঁকড়া ধরতে পারবেন। সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম থাকায় দুই মাস নিষেধাজ্ঞা ছিল।

 

শনিবার থেকে পারমিট (অনুমতিপত্র) দেওয়া হচ্ছে, এবং জেলেরা সুন্দরবনে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসকে কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। প্রজনন সুরক্ষায় এ সময়টায় সুন্দরবনের নদী-খালে কাঁকড়া আহরণ নিষিদ্ধ থাকে।

 

এজন্য গত ১ জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত কাঁকড়া ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। এই সময়ের মধ্যে কোন বনজীবীকে কাঁকড়া ধরার অনুমতি পত্র দেয়া হয়নি। উপকূলীয় গাবুরা ইউনিয়ন সহ সুন্দরবন বেষ্টিত সকল ইউনিয়নের জেলেরা বলেন, সুন্দরবনে দুই মাস কাঁকড়া ধরার পাশ বন্ধ থাকায় ধারদেনা করে চলতে হয়েছে।

 

বনজীবী আব্দুল মাজেদ জানান, উপকূলের জেলে-বাওয়ালীরা মূলত সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল। বছরে ১২ মাসের মধ্যে যদি ছয় মাস পাশ বন্ধ থাকে, তাহলে আমাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকে না। এতে আমরা খুব কষ্টে দিন কাটাই। সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের জলভাগে ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া রয়েছে। এর মধ্যে শুধু শিলা কাঁকড়া জেলেরা আহরণ করে বিক্রি করেন।

 

এ বিষয়ে বন বিভাগ সাতক্ষীরা রেঞ্জের এসি এফ মো: মশিউর রহমান বলেন দুই মাস কাকড়ার পাশ বন্ধ থাকার পরে পহেলা মার্চ থেকে পাস পারমিট খুলে দেওয়া হয়েছে, আইন মেনে সুন্দরবনের কাকড়া ধরার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com