• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:৪৫
সর্বশেষ :
তালায় দোয়াত-কলমের জনসভায় জনস্রোত তালায় ট্রাক উল্টে ২ শ্রমিক নি হ ত, আ হ ত ১১ এলজিইডির উন্নয়নে পাল্টে যাচ্ছে ডুমুরিয়ার গ্রামীণ অর্থনীতি পাইকগাছায় গাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পর্শে যুবকের মৃ ত্যু পাইকগাছায় ৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ মোট ১৯ প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে বিনেরপোতা এলাকায় মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট   আশাশুনিতে সংগঠন পরিপন্থী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন  শ্যামনগরে রোগীদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ করেছেন এমপি দোলন  দেবহাটায় এনসিসি ব্যাংকের ৩১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন  ডুমুরিয়ায় গ্রামপুলিশ বাহিনীর সদস্যগণের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স’র সমাপনী

ডুমুরিয়াসহ ৪৫০টি মৎস্যজীবী গ্রাম উন্নয়ন করা হচ্ছে

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া, খুলনা প্রতিনিধি  / ২৪ দেখেছেন:
পাবলিশ: শনিবার, ৪ মে, ২০২৪
ডুমুরিয়াসহ ৪৫০টি মৎস্যজীবী গ্রাম উন্নয়ন করা হচ্ছে

সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিসারিজ প্রজেক্ট ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় প্রকল্প এলাকায় ১০০টি মডেল ভিলেজ প্রতিষ্ঠা ৪৫০টি মৎস্যজীবী গ্রাম উন্নয়ন করা হচ্ছে। মাছ আমাদের দেশে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।। তাই প্রবাদেও বলা আছে ‘মাছে ভাতে বাঙালী। জনবহুল বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে ও অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে মৎস্য খাত বিগত কয়েক দশক যাবত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। মাছচাষি, মৎস্য বিজ্ঞানী ও গবেষক এবং সম্প্রসারণবিদসহ সংশ্লিষ্ট সবার নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ মৎস্য সম্পদে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। ফলে বর্তমানে দেশের মানুষ গড়ে জনপ্রতি প্রতিদিন ৬০ গ্রাম চাহিদার বিপরীতে ৬২ দশমিক ৫৮ গ্রাম মাছ গ্রহণ করছে।

বৈশ্বিক করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে দেশের প্রায় সকল ক্ষেত্রে উৎপাদন ব্যাহত হলেও মৎস্য সেক্টরে এর প্রভাব পড়েনি। এর ফলস্বরূপ দেখা যায়, কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্ববাজারে আর্থিক মন্দাবস্থা থাকা সত্ত্বেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের ফলে সর্বশেষ ২০২১- ২২ অর্থবছরে ৭৪ হাজার ৪২ দশমিক কোটি টাকা আয় হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে শতকরা ২৬থেকে৬৭ মেট্রিক টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে ৫ হাজার ১৯১ দশমিক ৭৫ দশমিক ৯৬ ভাগ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে টাকার অংকে মৎস্য উপখাত থেকে জিডিপিতে যুক্ত হয়েছে ৮২ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ৭৪ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা। এই খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ১০ শতাংশ। বাংলাদেশের সামগ্রিক কৃষি সেক্টরে মৎস্য খাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। এক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত থাকার ফলে মাছ উৎপাদন নিয়মিত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব পরিমণ্ডলে মাছ উৎপাদনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় রেকর্ড তৈরি করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশ আজ অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ আহরণে বিশ্বে ৩য়, স্বাদুপানির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির হারে ২য়, বদ্ধ জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে ৫ম, অ্যাকোয়াকালচার, অর্থাৎ মাছের সঙ্গে অন্যান্য জলজ উদ্ভিদ উৎপাদনে ৫ম, ইলিশ আহরণে বিশ্বে ১ম, সামুদ্রিক ও উপকূলীয় ক্রাস্টাশিয়া এবং ফিনফিস উৎপাদনে যথাক্রমে ৮ম ও ১২তম।

 

তাছাড়া তেলাপিয়া মাছ উৎপাদনে বিশ্বে ৪র্থ এবং এশিয়ায় ৩য় (অ.স ২০২২)। মাছের সম্ভাবনাময় উজ্জ্বল ভবিষ্যৎতের কথা ভেবে এজন্যই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজ থেকে ৫০ বছর আগে ১৯৭২ সালে কুমিল্লার এক জনসভায় বলেছিলেন মাছ হবে দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ। বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের সময়োপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের
ফলে বাংলাদেশ আজ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি বেকারত্ব দূর করে দেশের অর্থনীতিকে আরো চাঙ্গা করতে এবং বর্তমান সরকারের আমার গ্রাম, আমার শহর এর কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ও শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার হালইসার গ্রামকে ফিশার ভিলেজ বা মৎস্য গ্রাম ঘোষণা করেছে।

 

এছাড়া সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিসারিজ প্রজেক্ট ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় প্রকল্প এলাকায় ১০০টি মডেল ভিলেজ প্রতিষ্ঠা ও ৪৫০টি মৎস্যজীবী গ্রাম উন্নয়ন করা হচ্ছে। পাশাপাশি মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানির বাজার সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের জন্য মান নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। গ্রামীন মৎস্য চাষি ও জেলেদের তথ্যপ্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে দেশব্যাপী জেলে নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান এবং ডাটাবেজ তৈরির কাজ চলমান রয়েছে।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com