আল মামুন : হিমালয়ের দেশ নেপালকে পরাজিত করে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধনায়ক এবং স্ট্রাইকার সাবিনা খাতুন নিজ বাড়িতে আসায় সাতক্ষীরায় সর্বস্তরের মানুষ বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে। হৃদয়ের সবটুকু আবেগ উজাড় করে সাবিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে হাজারো মানুষ। ফুলেল শুভেচ্ছায় এবং বর্ণিল শোভাযাত্রায় তাকে বরণ করা হয়েছে।

 

 

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে একটি কালো রঙের প্রাইভেটকারে চড়ে সাতক্ষীরা সার্কিট হাউসের সামনে আসেন ফুটবল কন্যা সাবিনা খাতুন। এরপর একটি ছাদখোলা পিকআপে ওঠেন তিনি। সাদা টি-শার্ট আর কলো চশমা পরা বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনাকে দুই হাত নেড়ে এ সময় অভিনন্দন জানান হাজারো মানুষ।

 

 

এসময় সাতক্ষীরা-যশোর সড়কে দেখা যায় জনতার ভীড়। এরপর সাফ চ্যাম্পিয়ন সাবিনা খাতুন ছাদখোলা পিকআপে দাঁড়িয়ে জনতার অভিনন্দনের জবাব দেন। সাতক্ষীরা সার্কিট হাউস মোড় থেকে শহরের ঘুরে নিউমার্কেট, সঙ্গীতা মোড় হয়ে, টাউন স্পোর্টিং ক্লাব, পুরাতন সাতক্ষীরা, কলেজ মোড় মোড়ে হয়ে নিউমার্কেট মোড়ে এসে পিকআপটি থামে। গোটা শহর ঘুরে তিনি সাতক্ষীরাসহ দেশবাসিকে অভিনন্দন জানান। লাল-সবুজের জাতীয় পতাকাবাহী খোলাছাদের পিকআপটি সাবিনাকে নিয়ে শহর প্রদক্ষিণকালে শিশু, কিশোর, যুব-বৃদ্ধ সবাই তাঁকে অভিনন্দন জানান।

 

 

এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের এ বিজয় দেশবাসির প্রতি উৎসর্গ করেছি। বাবা বেঁচে থাকলে তিনি আজ সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন। সাতক্ষীরাসহ দেশবাসির ভালোবাসায় আজ বাংলাদেশ নারী ফুটবল টিম বিজয় উল্লাস প্রকাশ করতে পারছি। এজন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাবলিল সহযোগিতা আমাদেরকে উদ্দীপ্ত করেছে।
বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নিয়ে থাকেন। তিনি আমাদের সব সময় প্রেরণা দিচ্ছেন। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। আগামীতে আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রেরণা ও দেশবাসির ভালোবাসায় এগিয়ে যাব-ইনশাল্লাহ।
এসময় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।