• বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২৬
সর্বশেষ :
শীতের আগমনীতে কুমড়া বড়ি দিতে ব্যস্ত সময় পার করছে ডুমুরিয়ার গৃহিণীরা বিছানায় না গেলে পুরুষ বাউলরা প্রোগ্রামে ডাকে না: হাসিনা সরকার কালিগঞ্জের পল্লীতে পানিতে ডুবে করুন মৃ ত্যু হয়েছে দুই শিক্ষার্থীর উপকূলীয় শ্যামনগর, আশাশুনি ইউনিয়ন পরিষদের রূপকল্প ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা কালিগঞ্জ থেকে ভেটখালী পর্যন্ত রাস্তা ৩৪ ফুট প্রশস্ত করার দাবিতে শ্যামনগরে মানববন্ধন ডিজিটাল সহিংসতা প্রতিরোধে শ্যামনগরে র‍্যালি, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন নির্বাচিত হতে পারলে খাজরা ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা ও কোনো কাঁচা রাস্তা : সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দিন ব্রহ্মরাজপুরে দীর্ঘদিন ধরে ওয়ারেশ নিয়ে বিরোধ: অবশেষে আদালতের রায়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি কালিগঞ্জে পলিথিন ও প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে গণশুনানি অনুষ্ঠিত ডুমুরিয়ায় কোটি কোটি টাকার শীতকালীন সবজি উৎপাদন

কাদা-পানিতে চলাচলে ভোগান্তি, বিদ্যালয়ে যাওয়া কষ্টসাধ্য

মো: আলাউদ্দিন, কৃষ্ণনগর, কালিগঞ্জ প্রতিনিধি / ১৩৯ দেখেছেন:
পাবলিশ: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর মাহবুব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে প্রতিদিন শত শত শিশু হেঁটে আসে স্কুলে। এই রাস্তা দিয়েই স্থানীয় হাইস্কুল, মাদ্রাসা আর গার্লস স্কুলের শিক্ষার্থীরাও যাতায়াত করে। আবার ব্যবসায়ীরাও কৃষ্ণনগর ও নয়াবেকী বাজারের মধ্যে আসা–যাওয়া করেন।

 

কিন্তু এত গুরুত্বপূর্ণ এই মেইন সড়কের স্কুলের সামনের প্রায় এক কিলোমিটার অংশ বছরের পর বছর ধরে কাঁচা পড়ে আছে। চারপাশের রাস্তা কার্পেটিং হলেও স্কুলের মুখের এইটুকু অংশ যেন উপেক্ষিতই থেকে গেছে।

 

শুকনো মৌসুমে কোনো রকমে চলা যায় কিন্তু বর্ষা এলেই রাস্তায় জমে যায় হাঁটু–কাদা। তখন বই–খাতা হাতে কাদার মধ্যে দিয়েই যেতে হয় শিক্ষার্থীদের। অনেক সময় ছোট ছোট পা পিছলে পড়ে, ভিজে জামাকাপড়ে ক্লাস করে তারা। বিদ্যালয়ের শিক্ষক হুমায়ুন কবির বলেন, প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের এই দুর্ভোগ চোখের সামনে দেখি। খুব কষ্ট লাগে, কিন্তু কিছুই করার নেই। আরেক শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান, বর্ষায় শিশু শিক্ষার্থীরা প্রায়ই পানি কাদায় ভিজে ক্লাসে আসে। অসুখ–বিসুখও হয়।

 

আরো পড়ুন :- অসহায়দের মাঝে ভ্যান ও টিনসহ অনুদান প্রদান করলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক

 

প্রথম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মা জানান, মেয়ে কাদার ভয়ে স্কুলেই যেতে চায় না। কখনো কোলে, কখনো কাঁধে করে স্কুলে নিয়ে যাই। একাধিক অভিভাবক বলেন, বৃষ্টির দিনে এই রাস্তায় সন্তানকে স্কুলে পাঠানো মানেই চিন্তা আর বিড়ম্বনা।

 

শুধু শিক্ষার্থী নয়, এই রাস্তা ব্যবহার করেন কৃষ্ণনগর ও নয়াবেকী বাজারের ব্যবসায়ীরাও। কাঁচা রাস্তার জন্য এখন শ্যামনগর ঘুরে অন্তত ৭ কিলোমিটার বাড়তি পথ পাড়ি দিতে হয়, এতে সময়, খরচ আর ভোগান্তি—সবই বেড়ে গেছে।

 

এক অভিভাবক আক্ষেপ করে বলেন, এতটুকু রাস্তা, তাও বছরের পর বছর কাঁচা পড়ে আছে। বৃষ্টি হলে বাচ্চারা ভিজে যায়, অসুখ হয়, খুব কষ্ট লাগে। এলাকাবাসী সহ শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের একটাই দাবি—এই এক কিলোমিটার রাস্তা দ্রুত পাকা হোক। শুধু শিশু শিক্ষার্থী নয়, পুরো এলাকার মানুষ স্বস্তি পাক। কারণ এই কাদার ভেতর দিয়ে প্রতিদিন যে শিশুরা হাঁটে—ওদের হাত ধরেই তো আগামীর বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com