• শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:০৩
সর্বশেষ :
শ্যামনগরে আসন পুন:র্বিন্যাসের প্র’তি’বা’দে জামায়াতে ইসলামীর মা’ন’ব’বন্ধন সাতক্ষীরা ৩ আসনের সীমানা পূর্ণ নির্ধারণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ জলাবদ্ধতায় ডুবছে ডুমুরিয়ার ১৪টি ইউনিয়নের মানুষ বাদীপক্ষকে হ’য়’রা’নির প্র’তিবা’দে থানা পুলিশের বি’রু’দ্ধে সংবাদ সম্মেলন আশাশুনিতে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা দেবহাটা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় সভা শ্যামনগগরে ফ্রেন্ডলি ব্যাকআপ টিমের র ক্ত পরিক্ষা কর্মসূচী খুলনা-৫ আসনে হতে পারে হাই ভোল্টেজের ল ড়া ই সুন্দরবনের মামুদা নদী সংলগ্ন এলাকায় একনলা বন্দু কসহ ২রাউন্ড তাজা কা র্তুজ উদ্ধার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মনজুরের ডুমুরিয়ার কাইনমারা ও ঘুরুনিয়া মাইক্রো ওয়াটারশেড পরিদর্শন

জলাবদ্ধতায় ডুবছে ডুমুরিয়ার ১৪টি ইউনিয়নের মানুষ

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া, খুলনা প্রতিনিধি / ৭০ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫

প্রথম সেখলে মনে হবে, এ যেন এক বিশাল মহাসাগর। চারিদিকে থৈ থৈ পানি, মাঠের পর মাঠ জলমগ্ন। ফসলী জমি এখন পানির নিচে। হাজার হাজার চিংড়ি মাছের ঘের ও শত শত হেক্টর জমির ধান ক্ষেত ডুবে আছে বৃষ্টির পানিতে। অথচ, পানি বের হওয়ার কোনো উপায় নেই। দিনকে দিন দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে, বেড়েছে কৃষকের আহাজারি।

 

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়নের ডোমরার বিল, বিস্তীর্ণ কৃষিজমি এখন পানির নিচে। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, বিএডসির খননকৃত খালগুলো দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ও অপরিচর্য থাকায় খাদগুলোর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ওই এলাকার অন্তত ত্রিশটি গ্রামের ফসলি মাঠে সৃষ্টি হয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা।

 

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৪টি ইউনিয়নের ধামালিয়া, রঘুনাথপুর, রুদাঘরা, খর্নিয়া, আটলিয়া, মাগুরা ঘোনা,সাহস, শরাফপুর, ভান্ডার পাড়া, ডুমুরিয়া সদর, গুটূদিয়া রং পুর, ও আশপাশের গ্রামের মাঠে এখন পানির নিচে।

 

খর্নিয়া গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘গত ৪-৫ বছর ধরে আমরা ঠিকভাবে ধান ফলাতে পারছি না।  খর্নিয়ার ডোমরার বিলে,খাল খনন ও কচুরিপানা কারনে বৃষ্টির পানি জমে মাঠ কি মাঠ ছয়লাব হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, ‘বিএডিসি দপ্তরে বহুবার গেছি। কর্মকর্তারা এসে দেখে গেছেন, আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।”

 

পাচপোতা গ্রামের কৃষক সোহরাব হোসেন জানান, ‘১০ গ্রামের পানি একসঙ্গে ডোমরার খালে এসে জমে। তারপর তা খর্নিয়ার গেট দিয়ে  নদীতে চলে যায়। কিন্তু খর্নিয়ার সুইস গেটের খাল এখন ভরাট ও কচুরিপনায় আটকে গেছে। ফলে পানি জমে থেকে যাচ্ছে, ফসল নষ্ট হচ্ছে।

 

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব হালিম জানান, বিএডিসির ক্ষুদ্রসেচ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে আমরা লিখিত আবেদন করেছি। কিন্তু এখনো কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি  দ্রুত খালগুলো খনন করে কৃষকদের এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেয়া হোক।

 

বিএডিসির (সেচ) সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন, “আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মাঠজুড়ে পানিই পানি। খাল ভরাট হওয়ায় পানি বের হচ্ছে না। আমি নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে রিপোর্ট পাঠিয়েছি। আশা করছি, শিগগিরই কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে।”

 

কৃষকের চোখে এখন শুধুই অন্ধকার। খাল খননের কাজ শুরু না হলে আগামীর দিনগুলো আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছে কৃষক সমাজ।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com