• মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৪০
সর্বশেষ :
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে জেন্ডার একশন প্ল্যান প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালা দেবহাটার এক শিক্ষা প্রতিষ্টানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ সাতক্ষীরায় পুলিশের পোশাকে জামায়াতের পথসভায়, এএসআই বরখাস্ত রিজভীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জামায়াতের রিজভীর বক্তব্য বোগাস, আমি এমন কিছু বলিনি : ডিএমপি কমিশনার যড়যন্ত্র চলছে, নির্বাচন অতো সহজে হবে না: তারেক রহমান শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত দেবহাটার সখিপুর বিএনপির আয়োজনে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়ানুষ্টান সাতক্ষীরায় মাদক বিরোধী গণসচেতনতা সৃষ্টিতে ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ ব্রহ্মরাজপুরে অক্ষর কোচিংয়ের উদ্যোগে ওপেন বুক বৃত্তি উৎসব অনুষ্ঠিত

ভারতেই থাকব, দেশে ফিরব না: রয়টার্সের সাক্ষাৎকারে হাসিনা

অনলাইন ডেস্ক / ২০০ দেখেছেন:
পাবলিশ: বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত কোনো সরকারের অধীনে তিনি দেশে ফিরবেন না। তিনি আপাতত ভারতে থাকার পরিকল্পনা নিয়েছেন।

 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে ভারতেই অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। সেখান থেকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। সেটি বুধবার (২৯ অক্টোবর) প্রকাশ করেছে রয়টার্স।

 

১৪ মাস আগে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এটিই শেখ হাসিনার প্রথম আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকার। রয়টার্স লিখেছে, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হাসিনার পতনের পর থেকে বাংলাদেশ পরিচালনা করছে এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের অঙ্গীকার করেছে। দেশে বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ।

 

ই-মেইলে রয়টার্সের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেছেন, “আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা কেবল অন্যায়ই নয়, এটি আত্মঘাতীও বটে। আওয়ামী লীগের লাখ লাখ সমর্থক আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচন বয়কট করবে।” রয়টার্সকে তিনি আরো বলেন, “পরবর্তী সরকারের নির্বাচনি বৈধতা থাকা দরকার। লাখ লাখ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে, তাই এখনকার অবস্থায় তারা ভোট দেবে না। যদি কার্যকর রাজনৈতিক ব্যবস্থা চান, তবে কোটি কোটি মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা চলবে না।”

 

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী আরো জানান, তিনি বা তার পরিবারের কেউ আর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নাও থাকতে পারেন। এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “এটা সত্যিই আমি বা আমার পরিবারকে নিয়ে নয়; বাংলাদেশ যে ভবিষ্যৎ চায়, তা অর্জন করতে হলে সাংবিধানিক শাসন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতেই হবে। কোনো একক ব্যক্তি বা পরিবার দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে না।”

 

তবে তার এই বক্তব্য তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের আগের মন্তব্যের সঙ্গে কিছুটা ভিন্ন। ওয়াশিংটনে বসবাসরত সজীব ওয়াজেদ গত বছর রয়টার্সকে বলেছিলেন, অনুরোধ করা হলে তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

 

দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি দেশে ফিরতে চাই, তবে শর্ত একটাই- সেখানে বৈধ সরকার থাকতে হবে, সংবিধান অটুট থাকতে হবে এবং প্রকৃত আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।”

 

জুলাই অভ্যুত্থানে সহিংস দমন-পীড়ন ও আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুমসহ কয়েকটি অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা চলমান।

 

এর আগে ট্রাইব্যুনাল গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর যেকোনো ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’ প্রকাশ বা প্রচার নিষিদ্ধ করে। বর্তমান বাস্তবতায় শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার নেওয়া হলে, তা বৈধতা বা নৈতিকতার দিক থেকে সঠিক হবে কিনা, তা নিয়ে সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দিনের একটি বক্তব্য ঘিরে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই রয়টার্স তার এই সাক্ষাৎকার প্রকাশ করল। শেখ হাসিনার বক্তব্য হুবহু প্রকাশ করা হলেও পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই অভ্যুত্থানে তার দেশ থেকে বিতাড়িত হওয়া এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে গুম-খুনের চলমান মামলার বিষয়গুলো রয়েছে।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com