সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে হালিমা খাতুন নামের এক গৃহবধু ও হৃদয় তরফদার নামক দু’জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বিকেলে কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মাথায় গুলিবিদ্ধ হালিমা খাতুনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর হৃদয় তরফদার স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
হালিমা খাতুন (৩৭) সোতা গ্রামের মোসলেম চৌকিদারের স্ত্রী। আর হৃদয় তরফদার (২১) শংকরপুর গ্রামের ইয়ার আলীর ছেলে।
গুলিবিদ্ধ হালিমা খাতুনের পুত্র সাইফুল্লাহ মনির বলেন, তার মা দুপুরে বাড়ির পাশের মাঠে হট্রগোলের শব্দে বাইরে গেলে তিনি মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যায়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা গুরুতর দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদরে রেফার করে।
এ ঘটনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, কৃষ্ণনগর গ্রামের জব্বার দরফদারের ছেলে ইয়ার আলী দীর্ঘদিন ধরে সোতা গ্রামের এক নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। সোমবার দুপুরে ইয়ার আলীর স্ত্রী ও পুত্র হৃদয় তাকে খুঁজতে ঐ নারীর বাড়িতে গেলে সেখানে ইয়ার আলীর সঙ্গে তাদের বাগবিতন্ডা হয়।
তিনি আরও জানান, এ সময় হালিমা খাতুন ওই বাড়ির অবস্থান দেখিয়ে দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ইয়ার আলী তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় ইয়ার আলীর ছেলে হৃদয়ও আহত হয়। তবে, এ বক্তব্যের সত্যতা কোন দায়িত্বশীল সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাদাত হোসেন জানান, ‘খবর পেয়ে আমি সঙ্গীয় ফোর্স সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। আমরা যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা হালিমা খাতুনকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরায় হাসপাতালে ভর্তি করেছে।’ এঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সালমান রহমান জানান, মাথায় গুলিবিদ্ধ হালিমা খাতুনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
https://www.kaabait.com