সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সরুলিয়া ইউনিয়নের লালচন্দ্রপুর গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম দেখাচ্ছেন একই জমি থেকে আয় বাড়ানোর এক সফল উপায়। শাকদাহ বিলের ১০ বিঘা ঘেরে তিনি পাচ’শটি হাঁসের বাচ্চা দিয়ে শুরু করেছেন তাঁর সমন্বিত চাষ। বর্তমানে তার ঘেরে হাসের সংখ্যা সাড়ে ৩’শ।
মাছ আর হাঁস—দুটোই একসাথে বড় হচ্ছে নিজের নিজের নিয়মে। মাছের খাবারের পাশাপাশি হাঁসের চলাচল আর বিষ্ঠা ঘেরের পানিতে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরি করে। এতে মাছ দ্রুত বাড়ে, খাদ্য ব্যয় কমে যায়। হাঁসও ঘেরের ছোট ছোট ঝিনুক–শামুক খেয়েই বড় হচ্ছে, ফলে আলাদা খাবারের চাপ খুবই কম।
ঘেরের কর্মচারী ইউসুফ বললেন, নিয়ম মেনে দিনে তিন বেলা স্বল্প পরিমাণে হাঁসের খাদ্য দিতে হয়। অন্য ঘেরের তুলনায় এই পরিমাণ অনেক কম। তাঁর ভাষায়, পদ্ধতিটা এতটাই ভালো যে সবকিছুরই উন্নতি দেখা যায়—মাছও বাড়ছে, হাঁসও বাড়ছে, খরচও কমছে।
শফিকুল ইসলাম জানালেন, আগামী মৌসুমে তিনি হাঁসের সংখ্যা কয়েক হাজারে বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন। আগামী মাস থেকে হাসগুলো ডিম দেওয়া শুরু করবে। তখন ঘেরের খরচ আরো অনেকটাই কমে আসবে। সাথে কৃষকদের উদ্দেশ্যে তাঁর অনুরোধ—একই জমিতে মাছ আর হাঁসের এই সমন্বিত পদ্ধতি ব্যবহার করলে আয়ও বাড়বে, ঝুঁকিও কমবে।
https://www.kaabait.com