জমজমাট মাগুরার ঈদ বাজার

মুরাদ হোসেন (মাগুরা) থেকে : চলছে বৈশাখ মাস উত্তপ্ত রোদ আর ঝাঁঝালো গরম, আবার কখনো মেঘ, সাথে ঝড়ো বাতাস। বৈশাখ মাসে রমজানের শেষলগ্নে মেঘের সাথে উত্তাপ ছড়ানো ঝাঁঝালো রোদের লুকোচুরি খেলা। সাথে তীব্র গরম। তবুও যেন থেমে নেই ঈদের কেনাকাটা। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে মাগুরায় জমজমাট ঈদ বাজার। ঈদের আনন্দটুকু পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে প্রিয় জনের জন্য পছন্দের পোশাক কিনতে ক্রেতাদের ক্লান্তিকর ছুটাছুটি।

 

 

জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটে দেখা যায় ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়। তবে বেশী ভীড় দেখা গেছে কাপড়ের দোকানগুলোতে। প্রতিদিন সকাল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত চলছে বেচা-কেনা।

 

 

ঈদে আপনজনকে নতুন পোশাক উপহার দিতে ধনী, দরিদ্র ও হতদরিদ্র সকলেই তাদের সাধ্যমতো কেনাকাটায় ব্যাস্ত। এবারের ঈদে দেশী-বিদেশী সব ধরণের কাপড়ই বেচা-কেনা হচ্ছে। তবে প্রচন্ড গরমের জন্য সুতি শাড়ী, সুতি থ্রি-পিচ ও টি-শার্টের কদর একটু বেশী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রত্যেকটি শপিং মলে মহিলা ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়। যার যার সমর্থ অনুযায়ী ক্রয় করছে হরেক রকম পোশাক। এবারের ঈদকে সামনে রেখে গ্রাহকদের নজর কাড়তে মার্কেটে নতুন নতুন ডিজাইনের কালেশন সাঁজিয়েছে ব্যবসায়ীরা। তবে বেশীর ভাগ ক্রেতাদের চহিদা ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে। এ ধরণের ক্রেতাই বেশী বলে জানান দোকানদাররা।

 

 

এদিকে ক্রেতাদের আকৃষ্টি করতে প্রতিযোগিতায় মেতেছে উপজেলার ব্যবসাহীরা। বাহারি
রঙ্গিণ আলোক সজ্জায় সাজানো হয়েছে এ সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। অনেকে আবার বিভিন্ন
রঙ্গের পোশাক পরিয়ে মার্কেটের সামনে দাড় করে রেখেছে তরুন-তরণীর মিনি কুইন। তবে বেশী বিক্রি হচ্ছে মহিলাদের শাড়ী, থ্রিপিচ আর ছেলেদের টি-শার্ট, জিন্স, পাঞ্জাবি-পায়জামা, ফতুয়া, গেঞ্জি ও শিশুদের পোশাকসহ গহনা, পাদুকা এবং প্রসাধনী।

 

 

ঈদের কেনাকাটা করতে আসা রুবাইয়াতুল ইসলাম শিমুল, মতিউর রহমানসহ বেশ কয়েকজনে জানান, ছেলে-মেয়ে এবং পরিবারের জন্য কাপড় ছোপড় ও প্রসাধনী ক্রয় করেছি। তবে বিদেশী কাপড়ের থেকে এবারের ঈদে দেশীয় কাপড় দোকানে বেশী এবং প্রচন্ড গরমের কারণে সুতি কাপড়ের দিকে ক্রেতাদের চাহিদা বেশী।

 

 

মহম্মদপুর উপজেলা ভ‚মি অফিস মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী সাংবাদিক খাইরুল ইসলাম বলেন, রমজান মাস শুরু থেকে কেনাবেচা খুব একটা ছিল না। পনের রোজার পর থেকে কেনাবেচা শুরু হয়েছে এই কেনা-বেচায় আমরা খুব খুশি। কারণ বিক্রয় ভালো হচ্ছে। তবে পুরুষের তুলনায় মহিলাদের পোশাক বিক্রয় হচ্ছে বেশী।

 

 

মহম্মদপুর উপজেলার রওশন মার্কেটের শেখ বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী মোঃ আকবর হোসেন মোল্যা বলেন, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা দেশী ও বিদেশী সব ধরণের পোশাক রেখেছি। তবে এখানে মধ্যবিত্ত ও নি¤œবিত্তদের আগমন বেশী। বিক্রয় মোটামোটি ভালো কিন্তু বেশী চলছে সুতি শাড়ী, থ্রিপিচ, পাঞ্জাবি, শার্ট ও শিশুদের পোশাক।