• শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ১১:০৭
সর্বশেষ :
ডুমুরিয়ায় তিন বছরের শিশু ধ র্ষ ণের অভিযোগে ধ র্ষ ক আটক কালিগঞ্জের কালিকাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসায় এডহক কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরার ২০৩ কিমি সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার, সহায়তায় প্রস্তুত এলাকাবাসী কৃষ্ণনগরে চোর-চক্রের হানা, স্বর্ণালঙ্কারসহ অর্ধ কোটি টাকার সম্পদ লুট শ্যামনগরে স্থানীয় সাংবাদিকদের জলবায়ু বিষয়ক প্রশিক্ষন শ্যামনগরে সরকারি জায়গা দখলের হিড়িক, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুরে শত্রুতার জেরে বৃক্ষ নিধন করেছে দূ র্বৃ ত্তরা শ্যামনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন সাংবাদিককে কারাদন্ড দেওয়া সেই ইউএনওকে অবশেষে রংপুরে বদলী বিলের ভিতর কালভার্টের নিচে পড়ে ছিল দিনমজুর নারীর লা শ

তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে আমের মুকুল ভালো না হওয়ায় আমচাষী ও বাগান মালিকরা দুশ্চিন্তায় 

প্রতিনিধি: / ২৫৩ দেখেছেন:
পাবলিশ: বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

ইমদাদুল হক, পাইকগাছা (খুলনা)
 পাইকগাছায় আম গাছে আশানারুপ মুকুল বা ফুল না হওয়ায় আমচাষী ও বাগান মালিকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে আমের মুকুল বের হতে দেরি হচ্ছে বলে জানান কৃষি অফিস। পাইকগাছাসহ উপকুল এলাকায় চলতি বছর অনেক দেরিতে আম গাছে মুকুল বের হওয়া শুরু হয়েছে। অধিকাংশ গাছের মুকুল ছোট ও চিকন হয়েছে। কোন গাছের একটি দুইটি ডালে মুকুল বের হয়েছে আর বাকী ডালের পল্লবে মুকুল হয়নি। অনেক গাছে কোন মুকুলই বের হয়নি। তবে কিছু কিছু গাছে প্রচুর পরিমান মুকুল বের হয়েছে। হিসাবে শীতের মধ্যে অতি বৃস্টি ও ঝড়ো হাওয়া এর কারণ হিসাবে বিবেচনা করছে কৃষিবীদরা। এমন পরিস্থিতে আমচাষি, বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
পাইকগাছার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি, রাড়ুলী ও পৌরসভা ছাড়া বাকি ইউয়িনগুলোতে সীমিত আমের গাছ রয়েছে। উপজেলায় ৫৮৫ হেক্টর জমিতে মোট আম গাছ রয়েছে। গাছের সংখ্যা প্রায় ৬৫ হাজার। কিছু কিছু পরিকল্পিত আম বাগান রয়েছে। এসব বাগানে সর্বনিন্ম ১০টি গাছ রয়েছে। ৫ শতক, ১০ শতক, ১ বিঘা ও ৩ বিঘা পর্যন্ত আমের বাগান রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নে ছড়ানো ছিটানো আম গাছ আছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এসব বাগানের ৫০/৬০ ভাগ গাছে মুকুল ধরেছে। অধিকাংশ গাছের মুকুল ছোট ও চিকন হয়েছে। কোন গাছের একটি দুইটি ডালে মুকুল বের হয়েছে আর বাকী ডালের পল্লবে মুকুল হয়নি। অনেক গাছে কোন মুকুলই বের হয়নি। ৪০ ভাগ আম গাছে কোন মুকুল বের হয়নি। তবে আরো কিছু গাছে মুকুল বের হতে পারে এমন আশা করছে চাষী ও বাগান মালিকরা।
উপজেলার কপিলমুনি,গদাইপুর, হরিঢালী, রাড়ুলী, পৌরসভা, চাঁদখালীসহ বিভিন্ন এলাকা আম বাগানের গাছে মুকুল ভালো হয়নি, এমনই চিত্র দেখা গেছে। গদাইপুরের আম চাষি মোবারক ঢালী বলেন, বাগানের আম গাছে মুকুল আসা শুরু করেছে।আমরা কৃষি বিভাগে গিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ গ্রহণ করছি। মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা আমের বাগান ভাল রাখার জন্য বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এদিকে আমের মুকুলে চাষীরা খুঁশি না। পুরোপুরিভাবে শীত বিদায়ের আগেই মুকুল না আসলে ফলন ভালো হবে না। ফাগুনে কুয়াশার আশংকা কম তারপরও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রকৃতির বিরূপ আচারণে আমের মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। হরিঢালীর আকবর হোসেন, তকিয়ার মুজিবর গাজীসহ বিভিন্ন এলাকার আম ব্যবসায়ীরা জানান, ঋণ করে আগাম আম বাগান নিয়েছে। অনেক চাষী আম বিক্রি ঋণের টাকা পরিশোধ করবে। গাছে আশানারুপ মুকুল বের না হওয়ায় তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে এমন আশাংকায় হতাশ হয়ে পড়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অসিম কুমার দাশ জানান, আমাদের পাইকগাছায় ৬০/৭০ ভাগ গাছে মুকুল চলে এসেছে, চাষীদের ফুল ফোটার অবস্থায় কোন ঔষধ বা কীটনাশক ব্যবহার না করতে বলা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ সময়ে বাগানে আমের শোষক বা হোপার পোকা গুলো গাছের বাকলে লুকিয়ে থাকে। এ ধরনের পোকা খুব বেশী দেখা দিলে অনুমোদিত কীটনাশক নাশক স্প্রে করার পরামর্শ প্রদান কর্ হয়েছে।কুয়াশার কারণে আমের মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এজন্য অনুমোদিত সালফার বা বালাই নাশক স্প্রে’র পরামর্শ দিয়েছেন। আবহাওয়া যদি রৌদ্রজ্জ্বল হয় এবং তাপমাত্রা বাড়ে তবে গুটি ভালো হবে।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com