• শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০১:৩২
সর্বশেষ :
ডুমুরিয়ায় তিন বছরের শিশু ধ র্ষ ণের অভিযোগে ধ র্ষ ক আটক কালিগঞ্জের কালিকাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসায় এডহক কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরার ২০৩ কিমি সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার, সহায়তায় প্রস্তুত এলাকাবাসী কৃষ্ণনগরে চোর-চক্রের হানা, স্বর্ণালঙ্কারসহ অর্ধ কোটি টাকার সম্পদ লুট শ্যামনগরে স্থানীয় সাংবাদিকদের জলবায়ু বিষয়ক প্রশিক্ষন শ্যামনগরে সরকারি জায়গা দখলের হিড়িক, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুরে শত্রুতার জেরে বৃক্ষ নিধন করেছে দূ র্বৃ ত্তরা শ্যামনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন সাংবাদিককে কারাদন্ড দেওয়া সেই ইউএনওকে অবশেষে রংপুরে বদলী বিলের ভিতর কালভার্টের নিচে পড়ে ছিল দিনমজুর নারীর লা শ

ইউনিসেফ জাপানের সহায়তায় রোহিঙ্গাদের জন্য কার্যক্রম বাড়িয়েছে

প্রতিনিধি: / ২১৪ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০২৪

জাপান সরকারের দেওয়া ২৭ লাখ মার্কিন ডলারের অনুদান নিয়ে ইউনিসেফ নোয়াখালীর ভাসানচর দ্বীপ ও কক্সবাজার জেলায় বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশু ও নারী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের কার্যক্রম বাড়িয়েছে। শুক্রবার ইউনিসেফ জানায়, কক্সবাজার জেলা ও ভাসানচরে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের জন্য বহুমুখী মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রকল্পের (দ্য প্রজেক্ট ফর মাল্টিপল হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাসিসট্যান্স ফর ডিসপ্লেসড পারসনস ফ্রম মিয়ানমার ইন কক্স’স বাজার ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড ভাসানচর) মাধ্যমে কক্সবাজার ও ভাসানচর আশ্রয় শিবিরের এক লাখ ৭৬ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ব্যক্তিরা সহায়তা পাবেন। এ প্রকল্পের আওতায় একটি সমন্বিত ও বহুমুখী মানবিক সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে শিশুদের শিক্ষার সুযোগ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা (পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা), স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি এবং শিশু ও তাদের পরিবারের পুষ্টি নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া উপকারভোগী জনগোষ্ঠীর মধ্যে সামাজিক ও আচরণগত পরিবর্তন সাধনের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হবে। বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, রোহিঙ্গা শিশুরা যেন পরিপূর্ণভাবে তাদের অধিকার ভোগ করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এ প্রকল্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা ছাড়া রোহিঙ্গা শিশুদের উন্নত ভবিষ্যতের কোনো আশা নেই। তাছাড়া নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সেবা না থাকলে শিশুরা নানা রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হবে। এতে তাদের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে এবং তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা হুমকির মুখে পড়বে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে অসহায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য এ মহান ভ‚মিকা রাখায় আমরা জাপান সরকার ও দেশটির জনগণকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এ অমূল্য সহায়তার কারণে আমরা আমাদের কার্যক্রমগুলো জোরদার এবং রোহিঙ্গা শিশু ও তাদের পরিবারকে জীবনরক্ষার একটি উপায় করে দিতে সক্ষম হব। জাপান সরকারের এ সহায়তায় রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠী উভয়ের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। তিনি বলেন, আমি উদ্বিগ্ন যে রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়িত হওয়ায় এ শিশুদের পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। জাপান রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ইউনিসেফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে যাবে। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনসহ এ সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য তৎপরতা অব্যাহত রাখবে। আশা করি, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে শিশুরা যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে, সেগুলো লাঘবে জাপানের এ অর্থায়ন ভ‚মিকা রাখবে। রোহিঙ্গা সংকট শুরু হয় ২০১৭ সালের আগস্টে। তখন থেকে বাংলাদেশে এ শরণার্থীদের প্রয়োজনগুলো পূরণে ধারাবাহিকভাবে সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়ানো দেশ জাপান। ইউনিসেফের কর্মসূচিগুলোতে নতুন এ তহবিল দেওয়াসহ জাপান চার কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার ডলারের বেশি অর্থ দিয়েছে এবং এ সংকটের শিকার হাজার হাজার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করেছে।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com