• বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩৫
সর্বশেষ :
শ্যামনগরে ড. মোঃ মনিরুজ্জামানের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ ইছামতী নদীর ভেড়িবাধে ভাঙ্গন পরিদর্শনে উপ-সচিব ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা না.গঞ্জে গ্রাম আদালত বিকেন্দ্রীকৃত পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ মহম্মদপুরে জামায়াতের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত মাগুরায় চড়া পেঁয়াজের বাজার, এক সপ্তার ব্যবধানে একশ দশ বঙ্গোপসাগরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে থাকা ২৪জন জেলেসহ মাছ ধরার ট্রলার উদ্ধার পাইকগাছায় স্বামী-স্ত্রীকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে স্বর্ণালংকার লুট আশাশুনিতে গ্রাম আদালতের ডিএমআইই প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদের রূপকল্প ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় খুলনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত তালা সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস আটক

ইউনিসেফ জাপানের সহায়তায় রোহিঙ্গাদের জন্য কার্যক্রম বাড়িয়েছে

প্রতিনিধি: / ৩৪৮ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০২৪

জাপান সরকারের দেওয়া ২৭ লাখ মার্কিন ডলারের অনুদান নিয়ে ইউনিসেফ নোয়াখালীর ভাসানচর দ্বীপ ও কক্সবাজার জেলায় বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশু ও নারী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের কার্যক্রম বাড়িয়েছে। শুক্রবার ইউনিসেফ জানায়, কক্সবাজার জেলা ও ভাসানচরে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের জন্য বহুমুখী মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রকল্পের (দ্য প্রজেক্ট ফর মাল্টিপল হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাসিসট্যান্স ফর ডিসপ্লেসড পারসনস ফ্রম মিয়ানমার ইন কক্স’স বাজার ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড ভাসানচর) মাধ্যমে কক্সবাজার ও ভাসানচর আশ্রয় শিবিরের এক লাখ ৭৬ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ব্যক্তিরা সহায়তা পাবেন। এ প্রকল্পের আওতায় একটি সমন্বিত ও বহুমুখী মানবিক সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে শিশুদের শিক্ষার সুযোগ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা (পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা), স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি এবং শিশু ও তাদের পরিবারের পুষ্টি নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া উপকারভোগী জনগোষ্ঠীর মধ্যে সামাজিক ও আচরণগত পরিবর্তন সাধনের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হবে। বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, রোহিঙ্গা শিশুরা যেন পরিপূর্ণভাবে তাদের অধিকার ভোগ করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এ প্রকল্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা ছাড়া রোহিঙ্গা শিশুদের উন্নত ভবিষ্যতের কোনো আশা নেই। তাছাড়া নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সেবা না থাকলে শিশুরা নানা রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হবে। এতে তাদের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে এবং তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা হুমকির মুখে পড়বে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে অসহায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য এ মহান ভ‚মিকা রাখায় আমরা জাপান সরকার ও দেশটির জনগণকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এ অমূল্য সহায়তার কারণে আমরা আমাদের কার্যক্রমগুলো জোরদার এবং রোহিঙ্গা শিশু ও তাদের পরিবারকে জীবনরক্ষার একটি উপায় করে দিতে সক্ষম হব। জাপান সরকারের এ সহায়তায় রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠী উভয়ের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। তিনি বলেন, আমি উদ্বিগ্ন যে রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়িত হওয়ায় এ শিশুদের পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। জাপান রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ইউনিসেফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে যাবে। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনসহ এ সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য তৎপরতা অব্যাহত রাখবে। আশা করি, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে শিশুরা যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে, সেগুলো লাঘবে জাপানের এ অর্থায়ন ভ‚মিকা রাখবে। রোহিঙ্গা সংকট শুরু হয় ২০১৭ সালের আগস্টে। তখন থেকে বাংলাদেশে এ শরণার্থীদের প্রয়োজনগুলো পূরণে ধারাবাহিকভাবে সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়ানো দেশ জাপান। ইউনিসেফের কর্মসূচিগুলোতে নতুন এ তহবিল দেওয়াসহ জাপান চার কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার ডলারের বেশি অর্থ দিয়েছে এবং এ সংকটের শিকার হাজার হাজার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করেছে।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com