• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০২:০০
সর্বশেষ :
না.গঞ্জ সদরে মাংস প্রক্রিয়াকারীগণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা কালিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তির ক ঙ্কা ল উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ পাইকগাছায় স্কুল ছাত্রী ধ র্ষ ণের অভিযোগে থানায় মামলা ; ধ র্ষ ক গ্রেপ্তার  তালা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ॥ প্রতীক পেয়েই প্রচার শুরু নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের ১লা মে আন্তজার্তিক মে দিবস পালিত তাপদাহ ও প্রচন্ড গরমে তৃষ্ণার্তদের মাঝে ঠান্ডা পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরন করেছেন এমপি স্বপন ডুমুরিয়ায় প্রাণি সম্পদের উদ্যোগে তাপদাহে করনীয় বিষয়ক উঠান বৈঠক শ্যামনগর ডিজিটাল ক্যাটারিং সার্ভিসের উদ্যোগে বিশুদ্ধ ঠান্ডা পানি বিতরণ তীব্র তাপদাহে মণিরামপুরে শ্রমজীবি-পথচারীদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতরণ  আজ মহান মে দিবস

কুষ্ঠরোগ ও শ্বেতীরোগের পার্থক্য

প্রতিনিধি: / ৪৪ দেখেছেন:
পাবলিশ: রবিবার, ১০ মার্চ, ২০২৪

স্বাস্থ্য: কুষ্ঠ বা লেপ্রোসি রোগটি সাধারণত গ্রীষ্মপ্রধান দেশে বেশি দেখা যায়। ‘মাইকোব্যাকটেরিয়াম লেপ্রি’ নামক একটি জীবাণু দ্বারা রোগটির সংক্রমণ ঘটে থাকে।
লক্ষণ
* রোগটি প্রধানত ত্বক ও মিউকাস মেমব্রেন (মুখগহŸরের মতো পাতলা নরম ত্বক) ও ত্বকের নিচে অবস্থিত স্নায়ুগুলোকে আক্রমণ করে সেখানে নানাবিধ লক্ষণ ও উপসর্গের জন্ম দেয়।
* আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বকের বিভিন্ন স্থানে মোটামুটি চক্রাকার সাদাটে দাগ দেখা যায়, যেখানে হালকা খোসা ওঠা ভাব থাকতে পারে এবং অনেক ক্ষেত্রেই এই দাগগুলোর চারপাশটা একটু উঁচু ও একটু শক্ত হয়ে থাকে।
কুষ্ঠরোগের সঙ্গে শ্বেতীরোগের পার্থক্য
ত্বকের এই কিঞ্চিৎ সাদা ভাবের জন্যই অনেক সময় সাধারণ ‘শ্বেতী’ রোগকে কুষ্ঠরোগ বলে ভুল করা হয়। কিন্তু কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত সাদাটে স্থানটি থাকে হালকাভাবে বিবর্ণ, যেখানে শ্বেতরোগের জায়গাটি হয় হাতির দাঁতের মতো ধবধবে সাদা। তবে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো, কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত স্থান থাকে সম্পূর্ণ বোধহীন। হালকা স্পর্শ বা উত্তাপের কোনো বোধ সেখানে থাকে না, আর শ্বেতীরোগে সমস্ত বোধশক্তিই সম্পূর্ণ অক্ষুণ্ণ থাকে।
এ ছাড়া ত্বকের বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট গোটা দেখা দিতে পারে। সার্বিকভাবে সারা শরীরের ত্বক খসখসে ও মোটা হয়ে যায়। স্নায়ুবৈকল্যের কারণে পায়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়, যেখানে কোনো ব্যথা থাকে না। কানের লতি ও মুখমÐলে ফোলা ফোলা গোটার মতো তৈরি হয়।
ভুরু (বিশেষ করে ভুরুর বাইরের দিকে) ও চোখের পাপড়ি ঝরে যায়।
কিভাবে সংক্রমণ ঘটে
আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে দীর্ঘ ও ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ ছাড়া রোগটির সংক্রমণ ঘটে না। অনেক সময় রোগজীবাণুর সঙ্গে সংস্পর্শ ঘটলেও রোগটির বহিঃপ্রকাশ ঘটতে ২০ বছরের মতো সময়ও লেগে যেতে পারে। তবে কিছু ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার পর মাস ছয়েকের মধ্যেও রোগটির বহিঃপ্রকাশ ঘটতে দেখা গেছে। আগে মনে করা হতো, কোনো সুস্থ ব্যক্তির ত্বকে কোনোভাবে হালকা কাটাছেঁড়ার মতো ঘটনা ঘটলে সেখানে আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বক থেকে জীবাণু সংক্রমণ ঘটে থাকে, তবে ইদানীংকালে ভাবা হচ্ছে, আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ানো জীবাণু আরেকজন ব্যক্তির নিঃশ্বাস গ্রহণের মাধ্যমেও রোগটির সংক্রমণ ঘটে থাকে।
চিকিৎসা
ছোঁয়াচে হলেও দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ ছাড়া এ রোগটি আরেকজনকে সংক্রমিত করতে পারে না। একবার সংক্রমিত হলে দীর্ঘদিন ধরে একনাগাড়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসা চালিয়ে না গেলে এ রোগ থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায় না। উপযুক্ত চিকিৎসা না পেলে রোগীকে অচল, অবশ ও পঙ্গু হয়ে জীবন পার করতে হয়। তবে সঠিক সময়ে শনাক্ত হলে এবং যথাযথ চিকিসা পেলে রোগটি থেকে পুরোপুরি পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com