• মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫১
সর্বশেষ :
জাতীয় ছাত্রশক্তির সাতক্ষীরা জেলা কমিটি অনুমোদন, নেতৃত্বে রুমন বখতিয়ার আঠারো বছর দেশে ভোটের নাটক হয়েছে, ভোট হয়নি : নিতাই রায় চৌধুরী সাতক্ষীরা সীমান্ত সীল, বিভিন্ন স্থানে বিজিবির চেকপোষ্ট ও টহল না.গঞ্জে আন্তর্জাতিক লেখক দিবস পালনে উদযাপন পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত ডুমুরিয়ায় বোরো রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে তরুণদের খেলার মাঠে ফেরার আহবান বকুলের শ্যামনগরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান শীতের ছুটিতে মনের প্রশান্তি দিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভ থেকে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত বিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু

খুলনা বিভাগে বিএনপির একমাত্র নারী প্রার্থী সাবিরা সুলতানা মুন্নী

অনলাইন ডেস্ক / ১৩২ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা বিভাগের ৩৫টি আসনের মধ্যে ২৬টিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। ঘোষিত তালিকায় একমাত্র নারী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবিরা সুলতানা মুন্নী (সাবিরা নাজমুল মুন্নী)।

 

দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, সাবিরা মুন্নীর স্বামী ও যশোর জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ নাজমুল ইসলাম ২০১১ সালে ঢাকা থেকে অপহৃত হয়ে নিহত হন। স্বামীর মৃত্যুর পর গৃহিণী থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন সাবিরা মুন্নী। ২০১৪ সালের উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির প্রতীক ‘ধানের শীষ’ নিয়ে চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন তিনি। বর্তমানে তিনি উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

 

দলের কঠিন সময়েও রাজপথে সক্রিয় ছিলেন সাবিরা মুন্নী। হামলা-মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয় উপেক্ষা করে দলকে সংগঠিত করেছেন তিনি। দলীয় সূত্র বলছে, সেই কারণেই তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত তাকে মূল্যায়ন করেছে বিএনপি।

 

এ আসনে বিএনপির শরিক জামায়াতে ইসলামী ডা. মোসলেহ উদ্দিন ফরিদকেও প্রার্থী হিসেবে মাঠে দেখা যাচ্ছে। তিনি শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এবং দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় রাজনৈতিকভাবে সক্রিয়। এর আগে ২০০১ সালে চারদলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জামায়াতের আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদাৎ হুসাইন বিজয়ী হয়েছিলেন। ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রার্থী ছিলেন ওই আবু সাঈদই। এবার দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াতের প্রার্থীর মুখোমুখি হচ্ছেন সাবিরা মুন্নী।

 

মনোনয়ন পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় সাবিরা মুন্নী বলেন, প্রত্যাশার প্রথম ধাপ পূরণ হয়েছে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের মাধ্যমে প্রত্যাশার চূড়ান্ত পর্ব সমাপ্ত হবে। স্বামীর মৃত্যুর পর ঝিকরগাছা ও চৌগাছার মানুষের ভালোবাসায় আমি সামনে এগিয়েছি। জনগণের সঙ্গে জনপ্রতিনিধির আত্মার সম্পর্ক থাকতে হয়—আমি সেটি করতে পেরেছি।

 

তিনি আরও বলেন, আমার সংসদীয় আসনে অর্ধেকের বেশি নারী ভোটার। নারীর অধিকার, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে কাজ করেছি। নারীরা তাদের পছন্দের প্রার্থী হিসেবে আমাকেই নির্বাচিত করবে বলে বিশ্বাস করি।

 

মনোনয়ন বঞ্চিতদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল, এখানে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকে। সবাই মনোনয়ন চেয়েছেন, কিন্তু একজনকেই দেওয়া সম্ভব। আমরা আগেই অঙ্গীকার করেছি—দল যাকে মনোনীত করবে, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষকে বিজয়ী করব।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com