
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে পরাজিত শক্তি নিজেদের স্বার্থে সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করছে। কোন জায়গায় সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেনি। অথচ পরাজিত শক্তি অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নামে এখন পর্যন্ত তিনটি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি হত্যা মামলা আর একটি অপহরণ মামলা।
অন্যদিকে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও মামলা হয়েছে। আরো মামলা হবে তাদের বিরুদ্ধে এবং প্রতিটি মামলার বিচার হবে বাংলার মাটিতে।
খুন হাসিনা ও তার দোষরদের বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকাল ৪টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে খুলনা মহানগর মহানগরীর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল পুর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে অনতিবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশ তথা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধ ‘গণহত্যায়’ জড়িত থাকায় শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসরদের বিচার করতে হবে। কুন্ডু বলেন, শেখ হাসিনা দেশকে মেধাশূন্য করতেই বল প্রয়োগ করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছেন। আর নিরস্ত্র মানুষের ওপর তার অনুগত পুলিশ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও নিষিদ্ধ মারণাস্ত্র ব্যবহার করেছেন। দ্রুত হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকল অপরাধীকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করতে হবে।
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা সভাপতির বক্তব্যে বলেন, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ ও যুক্তিসংগত আন্দোলনে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে পদত্যাগী হাসিনা সরকার এবং তাদের মদদপুষ্ট পুলিশ বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে। আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও গুলি-হামলা চালিয়েছে। যার জন্য অসংখ্য মানুষ মারা গেছে।
শিগগিরই এ গণহত্যার বিচার করতে হবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যেকোনো মূল্যে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, ফকরুল আলম, স.ম আ রহমান, বেগম রেহেনা ঈসা, অ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, শেখ জাহিদুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান মনি, কে এম হুমায়ন কবির, মোঃ মুরশিদ কামাল, যুবদলের কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম , সাইফুল ইসলাম সান্টু, আব্দুল আজিজ সুমন, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিকুল ইসলাম শাহিন, কৃষক দলের আক্তারুজ্জামান তালুকদার সজীব, শেখ আদনান ইসলাম দ্বীপ, জাসাসের নুর ইসলাম বাচ্চু, ছাত্রদলের ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, মোঃ তাজিম বিশ্বাস, মহিলাদলের এড. তছলিমা খাতুন ছন্দা, আঞ্চলিক শ্রমিক দলের আলমগীর হোসেন তালুকদার, ওয়ার্ড বিএনপির আবু সাঈদ শেখ, মাহবুবউল্লাহ শামীম, আসাদুজ্জামান আসাদ, সিরাজুল উসলাম লিটন, মোঃ শহীদ খান, সরদার শফিকুল আমিন লাভলু, আব্দুল ওহাব, মোঃ শাহ্ জালাল, শেখ আব্দুল আলিম, মোস্তফা কামাল প্রমূখ।
সমাবেশ শেষে দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে র্যায়েল চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় নগরবাসি ও ব্যবসায়ীরা রাস্তার দুইপাশে দাড়িয়ে করতালির মাধ্যমে বিএনপির কর্মসুচির সাথে একাত্মতা ঘোষনা করেন।