সাতক্ষীরা সুপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এবং বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টির কারণে সাতক্ষীরা পৌরসভাসহ সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় বিগত কয়েক বছরের চেয়ে এবছর ভারি বৃষ্টিপাতে সাতক্ষীরা পৌরসভার অধিকাংশ এলাকা পানির নিচে। প্রতিবছর জুন থেকে অক্টোবরের ভিতরে মৌসুমী জলবায়ুর প্রভাবে বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা সাতক্ষীরা একটি অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ন জনবহুল এলাকা।এখানে বৃষ্টি আসার সাথে সাথে পানি নিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় সাতক্ষীরা শহরের বেশিরভাগ অঞ্চলে স্থায়ী জলবদ্ধতায় রূপ নেয়।
বিশেষ করে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে, জজকোর্ট এলাকায়, সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন এলাকা,সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ এলাকায়, ঝুঁটিতলা, মাছখোলা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ এলাকা, সাতক্ষীরা সুলতানপুর কাজীপাড়া, কাটিয়া মাঠ পাড়া, পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস, ইটাগাছা ,কামালনগর, খড়িবিলা,বকচরা,পুরাতন সাতক্ষীরা বদ্দিপুর কলোনীসহ বেতনা পাড়ের অর্ধ শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসব এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কোন শেষ নেই। জলাবদ্ধতার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চর্মরোগসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এসব এলাকায় এখন অল্প বৃষ্টিতে সৃষ্ট হয় তীব্র জলাবদ্ধতা।ফলে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে পানিবন্দি মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপন। এসব জলাবদ্ধ এলাকার রাস্তা রাস্তাঘাটে পানি , মানুষের ঘরের ভিতরে পানি, টিউবওয়েল পানির নিচে, স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙে নাজুক হয়ে পড়েছে।
সাতক্ষীরা কামালনগর এলাকার সোহরাব হোসেন জানান- আমার বসত বাড়ির চারপাশে পানি, ছোট ছেলেমেয়ে নিয়ে ঘরের ভিতরে পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না, ভেলা ও নৌকা যোগে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করতে হচ্ছে।সবচেয়ে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিয়ে। অনেককে রাতের আধারে চৌকিখাটের উপর চেয়ার দিয়ে টয়লেট সারতে হচ্ছে।
সাতক্ষীরা পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ঘুড্ডেরডাঙ্গী এলাকার সুলতান মাহমুদ জানান-বৃষ্টি হলেই আমাদের এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং নিষ্কাশন না হওয়ায় তা স্থায়ীরুপ ধারণ করে। জলাবদ্ধতার কারণে আমরা খুব কষ্টে জীবন যাপন করছি। রান্না খাওয়ার এবং টয়লেটের ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে।
সাতক্ষীরা পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাওন হোসেন জানান- দীর্ঘ ৬ মাস ধরে আমরা পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছি।এসব নোংরা পানির ভিতর হাঁটাচলা করতে গিয়ে পানি বাহিত রোগে ভুগছি আমরা।
প্রতিবছর জুন-জুলাই মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অর্থাৎ ছয় মাস জলবদ্ধতার শিকার হতে হচ্ছে সাতক্ষীরা পৌরসভাসহ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের কয়েক লক্ষ মানুষের। বছরের ছয় মাস জলবদ্ধতার কারণে নিন্ম আয়ের মানুষের জনদুর্ভোগের শেষ নেই।
সাতক্ষীরা শহরসহ পৌরসভার প্রতিটি পাড়া মহল্লায় কয়েক ঘন্টা বৃষ্টি হলেই পানিতে থৈথৈ করে। সাতক্ষীরা শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতক্ষীরা জজ কোর্টের সামনের পলাশপোল বৌ বাজার হয়ে প্রাণ সায়ের খাল অভিমুখী রাস্তাটিতে হাঁটুর উপরে ওঠে যায়। এখানে মানুষের ভোগান্তির কোন শেষ নেই।
উপযুক্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও কালভার্ট না থাকার কারণে জলবদ্ধতার একমাত্র কারণ বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল।
সাতক্ষীরা পৌরসভার অন্তত ২০টি গ্রাম জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছে।
সাতক্ষীরা পৌরসভার অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও অ-ব্যবস্থাপনার কারণে পৌরসভার পানি ইউনিয়নের খাল দিয়ে নদীতে পানি নিষ্কাশন হতে না পারায় জলাবদ্ধতা মহামারি আকার ধারণ করেছে।যদিও বেতনা নদীর আংশিক ও মরিচ্চাপ নদী খননের ফলে কিছুটা নিষ্কাশন হলেও তাতে সাতক্ষীরা শহরবাসী কোন সুফল পাচ্ছে না।
গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বেতনা নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ার কারণে নদীতে লোকালয়ের পানি প্রবেশ করতে না পারায় এবং জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
জলাবদ্ধতার কারণে ফসলের ক্ষেত, শত শত একর মাছের ঘের ও পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে। দীর্ঘ সময় ধরে জলাবদ্ধ থাকায় এসব এলাকার বিলগুলো আমন ধান চাষের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এ কারণে এলাকার কৃষকরা কৃষি বিমুখ হয়ে কাজের সন্ধানে ঢাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে বিগত ১০-১৫ বছর ধরে ভারী বর্ষণে প্রতিবছর ৬ মাস ধরে স্থায়ী জলবদ্ধতা থাকে। জলবদ্ধতা নিরশনে বেতনা নদীর বিকল্প নেই । অপরিকল্পিত মাছের ঘের আর পাউবোর অপরিকল্পিত স্লুইস গেট সর্বনাশ ডেকে এনেছে এ অঞ্চলের মানুষের। বেদনা নদীর নাব্যতা হারানোর কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির প্রধান কারণ। বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় বেতনা নদী পূর্ণ খননের কাজ শুরু হলেও চার বছর ধরে এখনো নদী খননের কাজ শেষ হয়নি। সে কারণে চলতি বছরেও বেতনা নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না।
সাম্প্রতিককালে ভারী বর্ষণে বিগত বছরের মতো এবারও বেতনা নদীর তীরবর্তী ২৫-৩০টি গ্রামে ফসলি জমি, মৎস্য ঘের পুকুর পানিতে ডুবে গেছে।
জলাবদ্ধতায় নাকাল বেতনা ও মরিচ্চাপ নদী মধ্যবর্তী ৬ ইউনিয়নের মানুষ। ইউনিয়নগুলো হল বল্লী, ঝাউডাঙ্গা, লাবসা, ব্রহ্মরাজপুর ,ধুলিহর, ও ফিংড়ী। এছাড়াও সাতক্ষীরা পৌরসভার পূর্ব ও পশ্চিমাংশের মানুষের জলাবদ্ধতায় নাকানি- চুবানি খাচ্ছেন। জলবদ্ধতা এখন এ অঞ্চলের মানুষের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার টাকা বারাদ্ধ দেয়, সেই টাকা যায় জলে। কাজের কাজ কিছুই হয় না। বেতনা নদী খননের নামে খাল খনন করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলেও সেই খালে পানি সরে না। আবার খননের নামে কাড়ি কাড়ি টাকা বরাদ্দ হয়। এভাবেই জলাবদ্ধতার কারণ সম্পর্কে বর্ণনা করছিলেন সাতক্ষীরার নাগরিক কমিটির নেতা আলী নূর খাঁন বাবলু।
তিনি বলেন প্রতি বছর জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় সাতক্ষীরা সদরের কয়েকটি ইউনিয়নের ২৫-৩০ টি গ্রামে স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্ট জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। জলবদ্ধতা কবলিত বিলগুলো হলো-বুড়ামারা, পালিচাঁদ, ঢেপুরবিল, চেলারবিল, হাতিশালার (হাচ্চালার) বিল, কচুয়ার বিল, হাজিখালি বিল, ডাইয়ের বিল, রামচন্দ্রপুরবিল ও ঘুড্ডিরবিলসহ একাধিক বিল। এসব বিলে বছরের পর বছর বর্ষাকালে পানি জমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। অপরিকল্পিতভাবে বেড়িবাঁধ দিয়ে করা হয়েছে মাছের ঘের।
স্থানীয়রা বলেন, এবছরও অতি ভারী বৃষ্টির কারণে সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা এলাকা হতে শুরু করে ধুলিহর, ব্রহ্মরাজপুর ও ফিংড়ী ইউনিয়নের ২৫-৩০টি গ্রামে স্থায়ী জলবদ্ধতায় ধুলিহর ইউনিয়নের দামারপোতা, বাগডাঙ্গা, বড়দল, জিয়ালা, গোবিন্দপুর, নাথপাড়া, কাজিরবাসা, তালতলা, বালুইগাছা, ধুলিহর সানাপাড়া, জাহানাবাজ, কোমরপুর, দরবাস্তিয়া, ভালুকা চাঁদপুর গ্রামের অধিকাংশ জায়গায় জলাবদ্ধতা ভয়াবহ রূপ নিয়ে স্থায়ী জলবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
এছাড়াও ফিংড়ী ইউনিয়নের ফয়জুল্যাপুর, বালিথা, শিমুল বাড়ীয়া, এল্লারচর, ফিংড়ী, গাভা, ব্যাংদহ, জোড়দিয়া, গোবরদাড়ী, সুলতানপুর, মজলিসপুর, হাবাসপুর ও কুলতিয়া সহ লাবসা ইউনিয়নের তালতলা, মাগুরা, গোবিনাথপুর, খেজুরডাঙ্গী, নলকুড়া, এছাড়াও ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের মাছখোলা,শাল্যে, নুনগোলা, রামচন্দ্রপুর, চেলারডাঙ্গা, বড়খামার, মেল্লেকপাড়া, উমরাপাড়া বাঁধন ডাঙ্গাসহ সাতক্ষীরা পৌরসভার ৫টা গ্রাম স্থায়ী জলাবদ্ধতার শিকার হয়।
গত কয়েক বছর যাবত বেতনা নদীর তীরে অবস্থিত এই এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ, গবাদিপশুসহ বিভিন্ন গৃহপালিত প্রাণী।
প্রতি বছর জুলাই মাস আসতে না আসতেই সামান্য বৃষ্টি হলেই সাতক্ষীরার বেতনা পাড়ে অবস্থিত এসব গ্রামগুলো পানির নিচে তলিয়ে যায়।এসব গ্রামের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। পানিবন্দি এসব মানুষের মধ্যে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন পানি বাহিত রোগ বালাই। রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা ডুবে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়।
গত কয়েকদিন আগের টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট ভয়াবহ স্থায়ী জলবদ্ধতার কারনে এসব এলাকার শতশত একর জমিতে আমন ধানের বীজতলা পানিতে ডুবে গেছে। সেকারনে আমন ধান চাষ করা নিয়ে চিন্তিত চাষিরা। এছাড়াও কৃষকরা কিছু জমিতে আউশ ধান চাষ করলেও ভারী বর্ষনের ফলে ধানগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে একাধিক কৃষকরা জানিয়েছেন।
সাতক্ষীরা পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনার কারণে পৌরসভার পানি ধুলিহর ও ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বেতনা নদীতে পানি নিষ্কাশন হতে না পারায় এসব এলাকার মানুষকে স্থায়ী জলাবদ্ধতার শিকার হতে হয় বলে জানান ধুলিহর ইউনিয়নের মেম্বার মিনহাজ মোর্শেদ। এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে বেতনা নদী খননের পাশাপাশি এসব এলাকার খাল খননের দাবীতে জেলা পানি নিষ্কাসন ও বাস্তবায়ন কমিটি, জেলা নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন গত এক যুগ ধরে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। স্থানীয় দৈনিক পত্রদূতসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রতি বছর জলাবদ্ধতার কারণে ক্ষয়ক্ষতি ও মানুষের দূর্বিসহ ভোগান্তির বর্ণনা দিয়ে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ করার ফলে সরকার ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বেতনা নদীর খনন কাজ গত ৫ বছর আগে শুরু করলেও তা কবে নাগাদ শেষ হবে তার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। ধীর গতিতে চলছে বেতনা নদী খননের কাজ। ফলে জলাবদ্ধতার শিকার এসব এলাকার মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জলাবদ্ধতার কারণে এলাকার বাড়িঘর, রাস্তাঘাট সব পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জনদুর্ভোগে অসহনীয় হয়ে পড়েছে বেতনা পাড়ের মানুষের। আবার অনেকেই বেতনা নদীর খনন কাজ দেখে আশার আলো না দেখে হতাশ হয়ে সাতক্ষীরা প্রাণ সায়ের খালের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছেন। তবে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিগত কয়েক বছর ধরে এসব এলাকার খালে নেটপাটা অপসারণ করতে চিরুনি অভিযান চালিয়ে আসছেন। তারপরও কিছু অসাধু লোকজন নেটপাটা দিয়ে মাছ ধরে আসছে বলে একাধিক ব্যক্তি দৈনিক পত্রদূতকে জানিয়েছেন।
ধুলিহর ইউনিয়নের বালুইগাছা গ্রামের সাংবাদিক শাহাদাৎ হোসেন বাবু জানান-গত কয়েক বছর ধরে জলাবদ্ধতায় আমার বসতবাড়ি সহ এলাকার অধিকাংশ বসতঘরের মধ্যে পানি ওঠায় আমরা অসহনীয় দূর্ভোগের মধ্যে মানবেতর জীবন যাপন করছি। অথচ শুধু পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে প্রতি বছর এসব এলাকার অসংখ্য রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে যায়।
এছাড়া জলাবদ্ধতার কারণে শতশত মাছের ঘেরসহ পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে যাওয়ায় অসংখ্য মৎস্যচাষীর মাথায় হাত উঠে গেছে।
প্রতিবছর জলাবদ্ধতার কারণে ধুলিহর ইউনিয়নের বালুইগাছা গ্রামের পালপাড়ায় মৃৎশিল্প হাড়ি, পাতিল, কলস, টালিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করার মাটি এবং কারখানা পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প আজ বিলুপ্ত হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। সচেতন এলাকাবাসী এলাকার স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
https://www.kaabait.com