জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমনে মৎস্যজীবী ও মৎস্যচাষিদের সচেতনতা বৃদ্ধি প্রচারাভিযানে বৃহস্পতিবার ২৩ অক্টোবর ২০২৫সকাল ৮টায় ডুমুরিয়ার শোভনা বিরাজময়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ময়দানে মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ এবং
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাস্তবায়নে মৎস্যচাষিদের সচেতনতা বৃদ্ধি প্রচারাভিযানে আলোচনা সভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শোভনা বিরাজময়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ মোসলেম উদ্দিন, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বদরুজ্জামান, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডুমুরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মোঃ জিল্লুর রহমান রিগান,শোভনা বিরাজময়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাইকেল মল্লিক।
বক্তব্য দেন এফ এ ও ড, রফিকুল ইসলাম খান, মোঃ মাছুদুর রহমান জিয়াউল হক ঢাকা, প্রমুখ।
উল্লেখ্য জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে আমাদের করণীয় বিগত কয়েক দশক ধরেই বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জন-জীবন, গবাদী পশু, মাছের ঘের, কৃষি-ফসল, বনাঞ্চল, রাস্তা-ঘাট, ঘড়-বাড়িসহ সকল ধরনের সম্পদ। জলবায়ু পরিবর্তনের এই বিরূপ প্রভাব যেমন- বন্যা, জলোচ্ছাস, ঘূর্ণিঝড়, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, খরা, তাপদাহ, বজ্রপাত, লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ ইত্যাদি বছরের পর বছর বেড়েই চলেছে। এর প্রভাবে মৎস্যচাষ ও মৎস্য ব্যবস্থাপনা ব্যাপক বাধার সৃষ্টি হচ্ছে, যা কাটিয়ে উঠা প্রান্তিক মৎস্যচাষি বা মৎস্যজীবীর পক্ষে প্রায়শই সম্ভব হয়ে উঠে না। বিশ্বব্যাপী জলবায়ুর এই পরিবর্তন মোকাবেলা করে সহনশীলতা অর্জনের মাধ্যমে কিছু কিছু আগাম প্রস্তুতি ও সতর্কতা উপকূলীয় অঞ্চলের জনজীবনকে সমূহ আপদ ও ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে রক্ষা করতে পারে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবে যারা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ঃ প্রান্তিক ও দরিদ্র্য জনগোষ্টি: মৎস্যচাষি, মৎস্যজীবীসহ সকল চাষি এবং তাদের পরিবার পরিজন: উপকূলে বা বাধের পাশে বসবাসকারী জনগোষ্ঠি: বয়স্ক নারী-পুরুষ, শিশু, নারী ও অসুস্থ ব্যক্তিবর্গ এবং অসচেতন ব্যক্তিবর্গ।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে যা হয়-কৃষি ফসল, গবাদি পশু-পাখি ও মৎস্য সম্পদ নষ্ট হয়ে যায়। রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কাল ভার্ট, ঘড়-বাড়ি, উপকূলীয় বাঁধ, বন ও বনাঞ্চল ধ্বংশ হয়ে যায়। সহায়-সম্পদ হারিয়ে যায় এবং জনজীবন বিপর্যস্ত হয়।
সময়মত কৃষি বা মাছ চাষ করা যায় না বা চাষ করতে দেরি হয়।
দুর্যোগকালীণ সময়ে বা দুর্যোগ পূর্বাবস্তায় মাছচাষিদের করণীয়ঃ রেডিও, টিভি বা অন্যান্য গণ-মাধ্যমের মাধ্যমে প্রচারিত দুর্যোগের আগামবার্তা সম্পর্কিত জরুরি সতর্কবানী নিয়মিত শুনতে হবে এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
চাষির ঘের বা পুকুরের পাড় পূর্বেই উঁচু করে বাধতে হবে, যাতে সহজেই পানিতে তলিয়ে যেতে না পারে।
ঘেরের তলার গভীরতা কমপক্ষে ৪-৫ ফুট করতে হবে।
প্রথমেই ঘেরের প্রস্তুতি ভালো করে করতে হবে এবং তলা কাদামুক্ত রাখতে হবে। সময়মত চাষের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে দ্রুত ফসল ঘরে তোলা যায়। এতে দামও বেশি পাওয়া যায় এবং আপদের হাত থেকে ফসল রক্ষা করা যায।
হঠাৎ বন্যার পানি থেকে মাছ। চিংড়ি রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত নেটের ব্যবস্থা আগে থেকেই সংগ্রহ করে রাখতে হবে এবং আপদ থেকে রক্ষা করার জন্য ব্লনেটে বেড়া দিতে হবে।
ঘেরে বা পুকুরে বড় সাইজের এবং ভালোমানের পোনা ছাড়তে হবে, যাতে দ্রুত বড় হয়।এক সাথে কয়েক জাতের মাছের চাষ করা উত্তম। এতে রোগ-বালাই কম হয় এবং ফলন ভালো পাওয়া যায়।ঘের বা পুকুরের পানির সঠিক গুণাগুন রক্ষার জন্য মাঝে মাঝে পানি পরীক্ষা করে নিতে হবে এবং তদানুযাযী ব্যবস্থা নিতে হবে।
নিয়মিত পুকুরে মাছের, চিংড়ির খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।
সকাল আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত সচেতনতা অভিযান মূলক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে শরাফপুর, তৈয়বপুর জেলে পল্লী আমাদের সকালের এই র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
https://www.kaabait.com