বৃহস্পতিবার (৭ আগষ্ট)সকাল ১১টায় খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলা রংপুর ইউনিয়নের শলুয়া রংপুর খালে কচুরিপানা মেশিন দিয়ে কাঁটা শুরু করেছেন।
শলুয়া রংপুর খালে কচুরিপানা মেশিন দারা টাকার পূর্বে তার বক্তব্য ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ আল আমিন বলেন যশোর মনিরামপুর প্রদীপ বিশ্বাসের কচুরিপানা কাটা মেশিন সম্পর্কে অবহিত হয়েছি। দেশীয় প্রযুক্তির এই উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৬লক্ষ টাকা দিয়ে এ মেশিন ক্রয় করেছি, এর রক্ষণাবেক্ষণ আপনারাই করবেন যাতে মেশিনটা ভালো থাকে।
এই মেশিন দ্বারা খালে যত কচুরিপানা আছে পর্যায় কর্মে কেটে ফেলা হবে।
এতে করে জলবদ্ধতা থাকবে না সুন্দরভাবে পানি নিষ্কাশন হয়ে যাবে। মানুষের জীবন মানের উন্নতি ঘটবে,আমি বিশ্বাস করি আপনারা এই মেশিন সুন্দর করে রাখবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সহকারী অবঃ পুলিশ কমিশনার মোঃ কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জামাত ইসলামের খুলনা জেলা সহকারী সেক্রেটারি গোলাম কুদ্দুস,খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য সরোয়ার হোসেন, আব্দুল মালেক, ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ ফরহাদ হোসেন, কচুরিপানা মেশিন আনার উদ্যোগদাতা আমিনুর রহমান, জি এম আমানুল্লাহ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার নায়েবে আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান,সেক্রেটারি মাওঃ সিরাজুল ইসলাম, রংপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সমাবেশ মন্ডল, সাংবাদিক শেখ মাহতাব হোসেন,ইউ পি সদস্যা পারভীন আক্তার,ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।
উল্লেখ্য খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার জলাবদ্ধ অঞ্চলকে দুঃখ বলা হয়। এ অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকা জলনির্ভর হয়ে পড়েছে। তাই খাল, বিল, নদী ও ঘেরে মাছ চাষ, আহরণ ও চলাচলে অন্যতম বাহন ডিঙি নৌকা ও তালের ডোঙা। কিন্তু এ অঞ্চলের জলাশয়ে কচুরিপানার বাড়-বাড়ন্তে ডিঙা ও নৌকা চলাচল কঠিন হয়ে পড়ে। এ সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজতে গিয়ে কচুরিপানা কাটার যন্ত্র উদ্ভাবন করে সাড়া ফেলেছেন যশোরের মনিরামপুরের মেকানিক প্রদীপ বিশ্বাস। ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে তার উদ্ভাবিত যন্ত্রটি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যন্ত্রটি ভাড়া, ক্রয় ও তৈরির অর্ডার আসছে। উপজেলা প্রশাসন বলছে, দেশীয় প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত যন্ত্রটির ব্যবহার বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রদীপ মনিরামপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী কুচলিয়া গ্রামের মৃত প্রভাত চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে। প্রভাত বিশ্বাস ছিলেন অভয়নগর উপজেলার একটি জুট মিলের নামকরা মেকানিক। পড়ালেখার গণ্ডি বেশি দূর না এগোলেও সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীন বাবার হাত ধরেই এই পথে আসা প্রদীপ বিশ্বাসের। প্রদীপ বলেন, ভবদহ অঞ্চলের নদী-খালগুলোতে পলি জমায় নাব্য হারিয়ে ফেলে প্রচুর শ্যাওলা (কচুরিপানা) জন্মে। এটা সারা বছরই থাকে। এতে খাল-বিল ও নদীতে চলাচল কঠিন হয়ে পড়ে। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় বের করার চিন্তা থেকে যন্ত্রটি উদ্ভাবনের চেষ্টা করি। ডিঙি নৌকার ওপর বিশেষ কায়দায় ইঞ্জিনসহ অন্যান্য উপকরণ বসিয়ে শ্যাওলা কাটা (কচুরিপানা) যন্ত্র তৈরি করি।
তিনি জানান, প্রথমে ২২ হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিন, অ্যাঙ্গেল, পাত, কাঠ, চেইন, পিনিয়াম, গিয়ারবক্স, প্লেনসিড ও ১৯টি বিচালি কাটা ছুরি দিয়ে মেশিন বানালেও ঘন শেওলা কাটতে গেলেই মেশিন বন্ধ হয়ে যেত। পরে নৌকা চালাতে ১১ হর্স পাওয়ার ও শেওলা কাটতে ২২ হর্স পাওয়ারের পৃথক তিনটি ইঞ্জিনসহ ৯টি ছুরি পাতের মধ্যে বিশেষ কায়দায় সেট করে মেশিনটি বানানো হয়। এতে প্রায় ৬লাখ টাকা ব্যয় হয়। ইতোমধ্যে তার তৈরি করা মেশিন বিভিন্ন এলাকায় কিনে নিয়েছে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ ধরনের উন্নতমানের মেশিন তৈরি সম্ভব।
https://www.kaabait.com