• শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১১:৫৯
সর্বশেষ :
সাতক্ষীরা ৩ আসনের সীমানা পূর্ণ নির্ধারণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ জলাবদ্ধতায় ডুবছে ডুমুরিয়ার ১৪টি ইউনিয়নের মানুষ বাদীপক্ষকে হ’য়’রা’নির প্র’তিবা’দে থানা পুলিশের বি’রু’দ্ধে সংবাদ সম্মেলন আশাশুনিতে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা দেবহাটা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় সভা শ্যামনগগরে ফ্রেন্ডলি ব্যাকআপ টিমের র ক্ত পরিক্ষা কর্মসূচী খুলনা-৫ আসনে হতে পারে হাই ভোল্টেজের ল ড়া ই সুন্দরবনের মামুদা নদী সংলগ্ন এলাকায় একনলা বন্দু কসহ ২রাউন্ড তাজা কা র্তুজ উদ্ধার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মনজুরের ডুমুরিয়ার কাইনমারা ও ঘুরুনিয়া মাইক্রো ওয়াটারশেড পরিদর্শন পরলোকে সাংবাদিক সামাদ মতিন’র সহধর্মিণী এড. সুরাইয়া মতিন

খুলনা-৫ আসনে হতে পারে হাই ভোল্টেজের ল ড়া ই

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া, খুলনা প্রতিনিধি / ৬৯ দেখেছেন:
পাবলিশ: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫
খুলনা-৫ আসনে হতে পারে হাই ভোল্টেজের লড়াই

খুলনা ডুমুরিয়া ফুলতলা নিয়ে খুলনা ৫ আসনে, কে হতে পারে আগামী নির্বাচনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংসদ সদস্য। রাজনীতির নিষ্ঠুর নিয়তির শিকার হতে যাচ্ছেন খুলনার দুই প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা। জোট রাজনীতির সূত্রে তারা ছিলো একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সময়ের ব্যবধান সেটি এখন মন্থর প্রতিখনবী মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন, এই দুই নেতা। যা এরই মধ্যে খুলনার সর্বত্রই আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।

 

একদিকে বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। অন্যদিকে বিগত ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বিসিবির সাবেক সভাপতি ও জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ মোহাম্মদ আলি আসগর লবী। ২০০১ সালে খুলনার রাজনীতিতে ভাবির্ভূত হন সাবেক সংসদ সদস্য আলী আসগর লবী। ২০০১ সালের নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া খুলনা-২ (খুলনা সদর-সোনাডাঙ্গা) আসন থেকে নির্বাচনে বিজয়ী হন। এই সময় মোহাম্মদ অলী আসগর লবী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট প্রধান আসনটি খালেদা জিয়া ছেড়ে দিলে উপ-নির্বাচনে আলি আসগর লবী নির্বাচিত হন। প্রচার রয়েছে আলী আসগার লবী ২০০১ সালের নির্বাচনে খুলনা-২ আসনসহ জেলার ৬টি আসনে চার দলীয় জোট প্রার্থীদের আর্থিকসহ নানা ধরনের সহযোগিতা করেছিলেন। যে কারণে বিএনপি’র এই ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় লাভ করেন।

 

জাতীয় সংসদেও অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ও আলী আসগর লবী । এলাকার নানা কর্মসূচিতে শামিল হন এই দুই নেতা।

 

২০০৭ সালের ১/১১ সরকারর আমলে সবেক এমপি আসগর লবী গ্রেফতার হন। বন্ধ করা হয় তার সব ব্যাংক একাউন্ট। তার অনুসারীরা বলেন, তিনি একজন ব্যক্তি সারাক্ষণ মোহাম্মদ আলী আসগর‌ লবী ডুমুরিয়া ফুলতলা এলাকার মনুষের কল্যাণে কাজ করেন। ওয়ান ইলেভেনের সরকার ও পরবর্তীতে আওয়ামী সরকার তাকে নির্যাতন করেছে। এখনো তার বাংক একাউন্ট সচল করা হয়নি। নানাবিধ ঘড়যন্ত্র মোকাবেলা করেছেন। সেই অর্থে তিনি দলের একজন ত্যাগই নেতা। তিনি প্রায় ১৭ বছর নিঃসত্ত্বে সাবেক রাষ্ট্রপতি শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী পালনসহ খুলনার রাজনীতিতে এখন সব জায়গায় আলী আসগর লবী।

 

অপরদিকে কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে অধ্যাপক মিয়া গেলাম পরওয়ার বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের জেল-জুলুম, মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে অধিকাংশ সময়ই কারাগারে দিন কাটিয়েছেন। উচ্চ আদালত থেকে জামিন মিললেও অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার মুক্তির পর জেল গেটে একাধিকবার তাকে পুরনো ও গয়েবী মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

 

বলতে গেলে ফ্যাসিস্ট স্যাকারে আমলে পুরো সময়টা কাটে তার কারাবন্দি জীবন। তবে গত বছর ৫ অগস্ট আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর তিনি মুক্তি পান এবং দেশের রাজনীতিতে প্রভাবশালী নেতা হিসেবে হাজির হন। তিনি মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গত ১০ মাস তার নির্বাচনী এলাকার সর্বত্রই উপস্থিতি থাকে। তার সঙ্গে রয়েছে দলিয় সু শৃঙ্খল নেতাকর্মীর নির্বেদিত নেতা কর্মীরা ২০০১ সালের ১ অক্টোবর নির্বচনে তিনি খুলনা-৫ (ফুলতলা-ডুমুরিয়া) আসন থেকে চারদলীয় জোট থেকে মনেনান পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখন এলাকার প্রান্ত অঞ্চলে ব্যাপক উন্নায়ন করেন এবং দলের সাংগঠনিক অবস্থা সুদৃঢ় করেন।

 

ডুমুরিয়া-ফুলতলা বিএনপির একাধিক নেতা জানান, খুলনা-৫ আসনে বিএনপির ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও বিগত দিনে দলীয় প্রার্থী না থাকা এবং দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে বিএনপির সংগঠনিক অবস্থা নিরুপন করা সম্ভব হানি।

 

খুলনা-৫ আসন হতে যিনি বিজয় হবেন, তিনি রেকর্ড সৃষ্টি করবেন। একই সঙ্গে এক সময়ের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক মিত্র ভোটের মাঠে পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বী সময়ে নিষ্ঠুর বলি হতে পারেন যে কেউ। যার অপেক্ষা করতে হবে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com