• বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০৭
সর্বশেষ :
শীতের আগমনীতে কুমড়া বড়ি দিতে ব্যস্ত সময় পার করছে ডুমুরিয়ার গৃহিণীরা বিছানায় না গেলে পুরুষ বাউলরা প্রোগ্রামে ডাকে না: হাসিনা সরকার কালিগঞ্জের পল্লীতে পানিতে ডুবে করুন মৃ ত্যু হয়েছে দুই শিক্ষার্থীর উপকূলীয় শ্যামনগর, আশাশুনি ইউনিয়ন পরিষদের রূপকল্প ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা কালিগঞ্জ থেকে ভেটখালী পর্যন্ত রাস্তা ৩৪ ফুট প্রশস্ত করার দাবিতে শ্যামনগরে মানববন্ধন ডিজিটাল সহিংসতা প্রতিরোধে শ্যামনগরে র‍্যালি, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন নির্বাচিত হতে পারলে খাজরা ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা ও কোনো কাঁচা রাস্তা : সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দিন ব্রহ্মরাজপুরে দীর্ঘদিন ধরে ওয়ারেশ নিয়ে বিরোধ: অবশেষে আদালতের রায়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি কালিগঞ্জে পলিথিন ও প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে গণশুনানি অনুষ্ঠিত ডুমুরিয়ায় কোটি কোটি টাকার শীতকালীন সবজি উৎপাদন

দেবহাটায় ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত

কে এম রেজাউল করিম, দেবহাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি / ৩৩৪ দেখেছেন:
পাবলিশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪
দেবহাটায় ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত

আধুনিক সভ্যতা ও প্রযুক্তির ছোঁয়ায় হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার হারানো ঐতিহ্যকে বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে দেবহাটা উপজেলায় সখিপুর ইউনিয়নের অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। বিলুপ্ত প্রায় এ লাঠি খেলা ঢাক-ঢোলের বাজনা আর গানের সুরের তালে তালে চলে লাঠিয়ালদের লাঠির কসরত। খেলায় প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা করে পাল্টা আঘাত করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন লাঠিয়ালরা। হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা দেখতে সেখানে ভীড় জমায় হাজরো দর্শক।

১৫ই মে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার সখিপুর ইউনিয়ন ধোপাডাঙ্গা মোড় প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় এ লাঠি খেলার।এ আয়োজনকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বয়ে যায় পুরো এলাকায়। এমন আয়োজন যেন প্রতি বছর হয় এমন দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। আয়ুব হোসেন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিথি ছিলেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী জি এম স্পর্শ ।

 

সংবাদিক রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজের প্রভাষক আবু হাসান। অনুষ্ঠান দেখতে আসা সাইন নামে একজন বলেন, লাঠি খেলা হচ্ছে গ্রাম বাংলার প্রাণের খেলা। কিন্তু আধুনিকতার নামে এসব খেলা দিনে দিনে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এ ধরণের খেলাধুলার বেশি বেশি আয়োজন করলে নতুন প্রজম্মের ছেলে-মেয়েরা উৎসাহিত হবে।আরো বলেন আমাদের বাপ-দাদারা এসব খেলা খেলতো। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গা গিয়ে লাঠি খেলা খেলেছে। কিন্তু সময় বদলের সাথে সাথে লাঠিয়ালদের কদরও কমে গেছে।

 

এখন খেলা খুব একটা হয় না। মাঝেমধ্যে ডাক পড়লে মনে আনন্দ নিয়েই এই খেলা খেলি। এ খেলা বাঁচিয়ে রাখতে হলে বেশি বেশি খেলার আয়োজন করা দরকার। সখিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, গ্রামীণ খেলাধুলা কমে যাওয়ায় যুব সমাজ মাদকের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। তাই যুব সমাজকে মাদকের পথ থেকে দূরে রাখতে এ ধরনের আয়োজন করা প্রয়োজন। গ্রামীণ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই প্রতি বছরই এ ধরেনর আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com