• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১২:২৬
সর্বশেষ :
ডুমুরিয়ায় প্রাণি সম্পদের উদ্যোগে তাপদাহে করনীয় বিষয়ক উঠান বৈঠক শ্যামনগর ডিজিটাল ক্যাটারিং সার্ভিসের উদ্যোগে বিশুদ্ধ ঠান্ডা পানি বিতরণ তীব্র তাপদাহে মণিরামপুরে শ্রমজীবি-পথচারীদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতরণ  আজ মহান মে দিবস দেবহাটায় ক্লান্ত পথচারীদের ঠান্ডা পানি ও ক্যাপ বিতরণ কালিগঞ্জে ১২ হাজার কেজি আম জব্দ করে বিনষ্ট করলো ভ্রাম্যমান আদালত পাটকেলঘাটায় যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মে দিবস পালিত ডুমুরিয়ায় তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে খাবার স্যালাইন, বিস্কুট ও শরবত পানীয় বিতরণ আশাশুনিতে হিট স্টোকে একজনের মৃ ত্যু মহম্মদপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কীম” উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় গোলপাতার ঘরে শিক্ষার্থীদের পাঠ দান

প্রতিনিধি: / ১১৩ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ৪ মার্চ, ২০২৪

ইমদাদুল হক,পাইকগাছা, (খুলনা): পাইকগাছার ১১৯নং স্মরণখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদ ধ্বসে পড়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নানা সংকট নিয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম।  এক ব্যক্তির জায়গায় জরাজীর্ণ গোলপাতার ঘর তৈরী করে শিক্ষার্থীরা সেখানে ক্লাস করছে,কিন্ত সেটি প্রধান সড়কের পাশে হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দূর্ঘটনার সম্ভবনা আছে বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোহিনুর ইসলাম ।
অতি সত্তর বিদ্যালয়ের ছাদ সংষ্কারের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন বিদ্যালয়েরর প্রধান শিক্ষক।
সরেজমিন যেয়ে দেখা যায়,পাইকগাছা-চাঁদখালী সড়কের পাশে অবস্থিত ১১৯নং স্মরণখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ চিত্র।১৯৯০ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৮০ জন শিক্ষার্থী পাঠদান করছে। বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ছাদ ধ্বসে পড়ায় গোলপাতার ঘরেই ঝুঁকির মধ্যেই শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।
  বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোহিনুর ইসলাম বলেন,গত ২০/০৮/২০২৩ সালে  স্কুল চলাকালিন সময়ে হঠাৎ বিদ্যালয়ের কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কক্ষের ছাদ ধ্বসে পড়ে।শ্রেণী শিক্ষক ঐ সময় শিক্ষার্থীদের ডেকে র্বোডের কাজ করাচ্ছিলেন ফলে শিক্ষার্থীরা মারাত্বক দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায়।বিষয়টি অভিবাবকরা জানার পর সরেজমিনে এসে ধ্বসে পড়া অংশ দেখেন এবং ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।এমতবস্থায় আমরা শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি  মিলে তাৎক্ষনিক পরের দিন অস্থায়ীভাবে বিদ্যালয়ের পাশে গোল পাতার ছাওনি ও বাশের চটার বেড়া দিয়ে পাঠদান অব্যাহত রাখার ব্যাবস্থা করি।কিন্ত অস্থায়ী ঘরটি প্রধান সড়কের পাশে হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দূর্ঘটনার ঝুকি আছে। এবং আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে বিদ্যালয়টি মেরামত করা না গেলে বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ জন্য আমি উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর ০৪/০৯/২০২৩ সালে বিদ্যালয়ের ছাদ সংষ্কারের জন্য লিখিত আবেন করেছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা বলেন,আমি সরেজমিন যেয়ে বিষয়টি দেখেছি ও বিদ্যালয়ের ছাদ সংষ্কারের জন্য চাহিদা পত্র পাঠিয়েছি।আশা করছি আগামী দুই মাসের মধ্যে বরাদ্ধ চলে আসবে। উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু বলেন আমি বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি।ছাদ ধ্বসে পড়ায় ছেলে মেয়েদের পড়া লেখায় একটু অসুবিধা হচ্ছে। আমি উপজেলায় মিটিংয়ে বিদ্যালয়ের বিষয়টি উত্তাপন করেছিলাম খুব তাড়াতাড়ি বিদ্যালয়ের ছাদ সংষ্কার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com