• মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৩
সর্বশেষ :
নির্বাচিত হতে পারলে খাজরা ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা ও কোনো কাঁচা রাস্তা : সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দিন ব্রহ্মরাজপুরে দীর্ঘদিন ধরে ওয়ারেশ নিয়ে বিরোধ: অবশেষে আদালতের রায়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি কালিগঞ্জে পলিথিন ও প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে গণশুনানি অনুষ্ঠিত ডুমুরিয়ায় কোটি কোটি টাকার শীতকালীন সবজি উৎপাদন ডুমুরিয়ায় বিশেষ অভিযানে পুশকৃত চিংড়ি জব্দ, অর্থদণ্ড তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত! নারায়ণগঞ্জে ব্র্যাকের ডেঙ্গু প্রতিরোধ ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সভা পাইকগাছায় শীতের শুরুতে বাড়ছে লেপ-তোশকের চাহিদা ডুমুরিয়ায় নিসচার ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নির্বাচনী প্রচারণা উপলক্ষে মাগুরা-২ আসনে জামায়াতের বিশাল মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা

প্রাণ প্রাণসায়ের খালের ময়লা-আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রম শুরু

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি / ২২৮ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪
সাতক্ষীরার প্রাণ প্রাণসায়ের খালের ময়লা-আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রম শুরু

পঁচে দুর্গন্ধ ছাড়াচ্ছে সাতক্ষীরা প্রাণসায়ের খালের পানি। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ প্রাণ সায়ের খানের দুপাড় দিয়ে চলাচল করে। খালের পশ্চিম পাড়ের রাস্তা দিয়ে সকালে প্রাতঃভ্রমণে বের হয় শতাধিক নারী-পুরুষ। ফলে সাতক্ষীরার প্রাণ প্রাণসায়ের খালের পানি পঁচে গিয়ে পৌরবাসীর মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে দাঁড়িয়েছে । পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে জেয়ার-ভাটা বন্ধ থাকায় প্রাণসায়ের খালের এমন অবস্থা।

এবার পৌরবাসির দুর্দশার কথা ভেবে প্রাণ সায়ের খালের ময়লা আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। সোরবার (২২ এপ্রিল) সকালে শহরের পাকাপুল ব্রিজ এলাকা থেকে একার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান বলেন, জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিং এ প্রণসায়ের খালে যাতে দ্রুত জোয়ার ভাটা সৃষ্টি হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। জেয়ার-ভাটা না হওয়ায় প্রাণসায়ের খালের দূরবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশের আজ সকাল থেকে আমরা প্রাণসায়ের খালের ময়লা আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছি। য়ার ভাটা সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রমে অব্যহত থাকবে।

উল্লেখ্য: সাতক্ষীরা শহরের একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৮৫০ সালের দিকে সাতক্ষীরার জমিদার প্রাণনাথ রায় চৌধুরী নদীপথে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা ও শহরের শ্রীবৃদ্ধির জন্য একটি খাল খনন করেন। মরিচ্চাপ নদের সঙ্গে বেতনা নদীর সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য এ খালটি খনন করা হয়।

এল্লারচর থেকে খেজুরডাঙ্গী পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার লম্বা খনন করা খালটি জমিদার প্রাণনাথ রায় চৌধুরীর নাম অনুসারে প্রাণসায়ের খাল হিসেবে পরিচিতি পায়। সাতক্ষীরা শহরের বুক চিরে উত্তর-দক্ষিণে বয়ে যাওয়া খালটি একসময় শহরের শ্রীবৃদ্ধি ঘটিয়েছিল। খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, কলকাতাসহ বিভিন্ন স্থানের সঙ্গে প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম ছিল এ খাল। এর মাধ্যমে সহজ হয়ে উঠেছিল জেলার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগও।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com