• রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৮:২১
সর্বশেষ :
কক্সবাজার থেকে ফিরে – মাল্টি স্টেকহোল্ডার স্টিয়ারিং সদস্যদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষবারের মত জরিমানা ব্যতীত খেলাপি মোটরযান হালনাগাদ করার সময় বৃদ্ধি  ডুমুরিয়ায় পাট বীজ উৎপাদন, চাষ ও পচনের আধুনিক প্রদ্ধতির ক্রমোন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা পাটকেলঘাটায় আনারস প্রতিকের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন পাটকেলঘাটায় মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধ র্ষ ন চেষ্টা মা ম লায় যুবক গ্রেফতার  ডুমুরিয়াসহ ৪৫০টি মৎস্যজীবী গ্রাম উন্নয়ন করা হচ্ছে সাতক্ষীরায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন শ্যামনগরে সুপিয় পানির জন্য হাহাকার, সরকারীভাবে বর্ষার পানি সংরক্ষণের ট্যাংক দাবি  ইউএনও’র আদেশ অমান্য করে ঘেংরাইল নদীর ব্রিজের কাজ আবারো শুরু দেবহাটা উপজেলা কৃষি অফিসারের বদলীজনীত সংবর্ধনা প্রদান

সওয়াব হবে না যাদের ফিতরা দিলে

প্রতিনিধি: / ৮ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪

ধর্মপাতা: যাকাতের মতো একটি আর্থিক ইবাদত হলো ফিতরা বা সদকাতুল ফিতর। ‘সদকাতুল ফিতর’ দুটি আরবি শব্দ। সদকা মানে দান, আর ফিতর মানে রোজার সমাপন বা ঈদুল ফিতর। অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা সদকাকেই সদকাতুল ফিতর বলা হয়। ফিতরা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে না থাকলেও এটির গুরুত্বও অনেক। জাকাত অর্জিত সম্পদের পবিত্রতা রক্ষার জন্য দেওয়া হয় আর ফিতরা রমজান মাসে রোজাদরদের ভুল-ত্রæটির কাফ্ফারা ও সাদাকাহ সাদাকাহ হিসেবে দেওয়া হয়। হজরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাকাতুল ফিতর অপরিহার্য করেছেন অনর্থক ও অশ্লীল কথা-বার্তা দ্বারা সিয়ামের যে ত্রæটি-বিচ্যুতি হয়েছে তা থেকে পবিত্র করা এবং মিসকীনদের খাদ্য প্রদানের জন্য। ঈদের নামাজের পূর্বে আদায় করলে তা যাকাতুল ফিতর হিসেবে গণ্য হবে। আর ঈদের নামাজের পর আদায় করলে তা অন্যান্য সাধারণ দানের মতো একটি দান হবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৬০৯; ইবন মাজাহ, হাদিস : ১৮২৭; মুস্তাদরাকে হাকেম; ১/৪০) কোরআন মজিদে যাকাত ব্যয়ের নির্দিষ্ট আটটি খাত উল্লেখ রয়েছে। সদকাতুল ফিতর, ওয়াজিব সদাকাত, ফিদিয়া, কাফফারা ও মান্নত ব্যয়ের খাতও এগুলো। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘মূলত সদকা হলো ফকির, মিসকিন, যাকাতকর্মী, অনুরক্ত ব্যক্তি ও নওমুসলিম, ক্রীতদাস, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, আল্লাহর পথে (ইসলামের সুরক্ষার জন্য) ও বিপদগ্রস্ত বিদেশি মুসাফির ও পথসন্তানদের জন্য। এটি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞানী ও পরম কৌশলী।’ (সুরা-৯ তওবা, আয়াত: ৬০) এর বাইরে যাদের যাকাত, সদকাতুল ফিতর, ওয়াজিব সদাকাত, ফিদিয়া, কাফফারা ও মান্নত দেওয়া যায় না, তারা হলেন মা–বাবা ও ঊর্ধ্বতন পুরুষ যেমন দাদা-দাদি ও নানা-নানি। ছেলে-মেয়ে ও অধঃসন্তান পুরুষ যেমন নাতি-নাতনি। স্ত্রী, কারণ, তার অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান স্বামীর দায়িত্বে। সায়্যদ, অর্থাৎ হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রকৃত বংশধর। ধনী লোক, যারা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক এবং অমুসলিম ব্যক্তি।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com