বগুড়া জেলা উত্তরবঙ্গের খ্যাত শস্য ভান্ডার নামে পরিচিত সারিয়াকান্দি উপজেলায় মরিচ চাষে এখন মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তীব্র গরম ও রোদ উপেক্ষা করে মাঠে মাঠে মরিচ গাছের পরিচর্যায় এখন তারা ব্যস্ত সময় পাস করছেন। বিশেষ করে আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারনে ভালো ফলনের সম্ভাবনার আশা ব্যাক্ত করেছেন কৃষকরা। এবার গত বছর চেয়ে ভালো দাম না পাওয়ায় বেশি লাভ হয়নি কৃষকের। এবারের ভালো দাম পেতে আগাম মরিচ চাষে তারা মাঠে নিয়মিতভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসে জানা গেছে। এবার উপজেলায় এখন পর্যন্ত এক হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। এ উপজেলা যমুনা ও বাঙালি নদীর অববাহিকায় বেলে দোআঁশ মাটিতে মরিচের ফলন ভালো হয়। এ বছর বন্যা না হওয়ায় আগেভাগেই জমি প্রস্তুত করা হয়েছে। গত কয়েক বছরের মতো এবছরও কৃষকরা জমিতে বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড মরিচ চাষ শুরু করেছেন। মরিচ ক্ষেতের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও মরিচ গাছে ফুল আসা শুরু করেছেন। কৃষকরা এখন জমিতে নিড়ানি, কীটনাশক প্রয়োগ ও সেচ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বেশ কয়েক দিন থেকেই উপজেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করেই আগাম মরিচ বাজারজাত করে ভালো দাম পেতে কৃষকরা জমিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলার হাটশেরপুর ইউনিয়নের হাসনাপাড়া গ্রামের কৃষক আলম উদ্দিন প্রামানিক জানান, প্রায় এক মাস আগে তিনি তার পাঁচ বিঘা জমিতে মরিচের চারা রোপণ করেছেন। চারাগুলো এখন বেশ বড় হয়েছে। কোন কোন গাছে মরিচের ফুল আসা শুরু করেছে। আশা করা যাচ্ছে আর দুই সপ্তাহের মধ্যেই তার মরিচ গাছে মরিচ ধরা শুরু করবে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী গত বছর এ উপজেলায় তিন হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়। উৎপাদন হয়েছিল ৯ হাজার ২৬৮ মেট্রিকটন শুকনো মরিচ। এবছর মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমিতে। এ পর্যন্ত এক হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম জানান, ভালো দাম পেতে কৃষকরা জমিতে আগাম মরিচ চাষ শুরু করেছেন। মরিচ চাষে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছরও কৃষকরা মরিচের ভালো ফলন পাবেন।
https://www.kaabait.com