কে এম রেজাউল করিম, দেবহাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
/ ১৯১
দেখেছেন:
পাবলিশ:
রবিবার, ১২ মে, ২০২৪
শেয়ার করুন
দেবহাটা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন, চলছে গণসংযোগ
দেবহাটা উপজেলা ৫ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। তথ্যমতে, দেবহাটা উপজেলা সর্বশেষ ভোটার তালিকা অনুযায়ী উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ১ লক্ষ ১১ হাজার ৫ শত ২৭ জন। আগামী ২১ মে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে দেবহাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। তাই নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের নিয়ে উপজেলা ব্যাপী চলছে নির্বাচনী আমেজ। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই প্রার্থীরা উপজেলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ছুটে চলেছে দিন-রাত। সাধারণ জনগণের সাথে করছে গণসংযোগ, দিচ্ছে নানা প্রতিশ্রুতি। দেখলে মনে হয় নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের মধ্যে চলছে গণসংযোগের প্রতিযোগিতা।
চায়ের দোকান থেকে শুরু করে মুদির দোকান, শপিং মল, কাঁচাবাজার, হাট-বাজার সর্বত্রই সাধারণ জনগণ এমনকি প্রশাসনিক কর্মকর্তা সকলের মুখে মুখে নির্বাচনী আলোচনা এর সাথে সাথে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের নিয়ে নানামুখী চিন্তা-ভাবনা ।
কে হতে চলেছে দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ? কে বসবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের চেয়ারে ? সেকি পারবে দেবহাটা উপজেলা কে সাতক্ষীরা জেলার ভিতরে মডেল উপজেলা করে গড়ে তুলতে ? তা নিয়েও দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারন জনগনের মধ্যে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
সেহেতু স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতা মুলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে মনে করেন সাধারণ জনগণ। আর সে ক্ষেত্রে নির্ভয়ে ভোট প্রদানের নিশ্চয়তাও আশা করেন তারা। দেবহাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান স ম গোলাম মোস্তফা, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আল ফেরদৌস আলফা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের আহ্বায়ক আবু রাহান তিতু। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সবুজ ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার ঘোষ। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জি এম স্পর্শ ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আমেনা খাতুন।
নিজের প্রার্থিতা বিষয়ে আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবুর রহমান বলেন, আমি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেবহাটা বাসীদের সেবা প্রদান করে চলেছি। আমি দুইবার উপজেলা আ’লীগের নির্বাচিত সভাপতি। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মনে আস্থা অর্জন করতে পেরেছি। উপজেলার বিদ্যুৎ, রাস্তা- ঘাট, স্কুল-কলেজ সহ বিভিন্ন স্তরে আমার অবদান রয়েছে। তাই আমি আশাবাদী আবার ও উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে দেবহাটা উপজেলা কে আধুনিকায়ন করে সাতক্ষীরা জেলার মধ্যে রোল মডেল তৈরি করব।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম নিজের প্রার্থীতা বিষয়ে বলেন, আমি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করি। আমি স্কুল ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত। তৃণমূল সংগঠন কে সুসংগঠিত করতে মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা করে যাচ্ছি। আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে উপজেলা কে আধুনিকায়ন করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বুকে ধারণ করে মানুষের সেবা করে যাব।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আলহাজ্ব আল ফেরদৌস আলফা জানান, নিরপেক্ষ ভোট হলে নির্বাচনে জনগণ আমাকে বিজয়ী করবে। ব্যবসায়ী জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো শুরু করেছি আজও তা অব্যাহত আছে। জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সততার সাথে কাজ করেছি। জেলা পরিষদ থেকে কোটি টাকার উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড করেছি মানুষের জন্য। উপজেলার সাধারণ মানুষ চাই আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করি তাই মানুষের চাওয়া কে সম্মান জানিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি।
উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে নিজের প্রার্থীতা সম্পর্কে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান স ম গোলাম মোস্তফা বলেন, আমার বাবা ছিল মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক। বাবার পথ ধরেই ৭৩ সালে আমি ছাত্র লীগের যোগদান করি। ৫ বছর দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে দেবহাটা উপজেলাকে আধুনিকায়নের চেষ্টা করেছি। বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও আদর্শ নিয়ে উপজেলা গড়ে তুলতে চাই। তাই নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারলে আমি উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে দেবহাটা উপজেলাকে আরো আধুনিকায়ন করে ডিজিটাল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো।
উপজেলা নির্বাচনে নিজের প্রার্থী বিষয়ে আবু রাহান তিতু বলেন, আমার বাবা ছিল একজন ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমি বাবার আদর্শ নিয়ে দেবহাটা বাসীদের সেবা করার প্রত্যয় নিয়ে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। ভোটে জয়লাভ করতে পারলে দেবহাটা উপজেলাকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো। উপজেলার সাধারণ জনগণের ধারণা যদি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তবে আমরা যোগ্য ব্যক্তিই বেছে নিবো।