• শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০৮:২৬
সর্বশেষ :
বিএনপি ক্ষমতায় আসলে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে: ডা. শহিদুল আলম তালায় সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলামের অংশগ্রহণে জগন্নাথ রথযাত্রা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অবৈধ ইটের পাঁজায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডোপ টেস্ট করা হবে–জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালা শ্যামনগরে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও সমাবেশ বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে প্রাণ সায়ের খাল পরিষ্কার ও বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি চিকিৎসা অবহেলায় শিশু মৃ ত্যুর অভিযোগ, হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ আশাশুনিতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা আশাশুনিতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

ঐতিহ্যবাহী শারদীয় বউমেলা অনুষ্ঠিতঃ পুরুষদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ

বগুড়া প্রতিনিধি / ২৬৪ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪
ঐতিহ্যবাহী শারদীয় বউমেলা

সবুজ-শ্যামল ছায়াঘেরা চত্ত্বরে নারীদের উপচে পড়া ভিড়। ধুনটে ‘বউমেলা’ মেলাকে কেন্দ্র করে নারীদের এমন ভিড়। শত বছরের পুরোনো এই মেলাতে শুধু যে বউ এসেছেন তা নয়। এখানে অংশ নিয়েছেন শাশুড়ি, ননদ, জা-ঝিসহ শিশু-কিশোরীরা।

 

গত রোববার রোববার (১৩ অক্টোবর) শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বগুড়ার ধুনট পৌর এলাকার সরকারপাড়া ইছামতি নদীর তীরে বসেছে একদিনের এই বউমেলা। মেলায় নারীদের পাশাপাশি বাহারী সব কাঁচের চুরি, রঙিন ফিতা, লিপস্টিক, কানের দুল, ঝিনুকের মালার পসরা সাজিয়ে রেখেছেন পুরুষরাও। মেলায় এসে শাশুড়ি,ননদ, জা-ঝিসহ নারীরা এসব অলঙ্কার কিনতে দামাদামি করছেন। দামে মিলে গেলে কিনছেন অলঙ্কারগুলো। তবে বউমেলায় পুরুষদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ থাকায় দৃষ্টির সীমানাজুড়ে শুধুই নারীদের চোখে পড়ে। তিলা, কদমা, নিমকি, শখের মিঠাই, চানাচুর, মাসের বোরা, খই, বাতাসা ও হরেকরকম খাবারের ঘ্রাণে ভারি হয় মেলার প্রান্তর।

 

স্থানীয়রা জানান, যুগ যুগান্তের পুরোনো এই মেলার ঐতিহ্য রয়েছে। প্রতি বছর বিজয়া দশমীতে আয়োজিত হয় বউমেলা। শুরুতে মেলাটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য হলেও বর্তমানে তা সব ধর্মের মানুষের উৎসবে পরিণত হয়েছে। একদিনের জন্য হলেও নারীদের নিজস্ব পরিসর তৈরির কল্পনা থেকেই মেলার শুরু। আর পুরনো ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতেই সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতির অনন্য নজির বয়ে চলেছে এখানকার মেলা। মেলায় আসে কুমারদের মাটির গড়া স্বপ্ন। তারা মাটি ছেনে তৈরি করেন দেশি-বিদেশি ফলের রঙিন ব্যাংক, সাহেব-মেম, বউ পুতুল, গরু, ছাগল, হাতি, বাঘ, সিংহ, ঘোড়া, কুমির, হাঁস, মুরগি, মাছ, পেখম তোলা ময়ূর ও পাখি। যার উপস্থিতি চিরায়ত গ্রামবাংলার কুমারপাড়ার শৈল্পিক জীবনের সংগ্রামী অস্তিত্বের জানান দেয়। মেলায় আসা নারীরা উচ্ছ্বাসিত কণ্ঠে জানান। এই দিনটির জন্য তারা বছরজুড়ে অপেক্ষা করেন। মেলাটিতে শুধু নারীদের আগমন থাকায় কেনাকাটা, ঘোরাফেরাতে থাকে তাদের অবাধ বিচরণ।

 

আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ কুমার সরকার বলেন, গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে তারা যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে মেলাটির আয়োজন করে আসছেন। দিনভর বউমেলা চলার পর সন্ধ্যায় ইছামতি নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে মেলা শেষ হয়। প্রতিবছর বিভিন্ন এলাকা থেকে সব ধর্মের নানা বয়সের মানুষ ছুটে আসেন এই মেলায়।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com