• মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪৫
সর্বশেষ :
সাতক্ষীরায় র’হ’স্য’জ’ন’কভাবে নি’খোঁ’জ তরুণী, থানায় সাধারণ ডায়েরি নারায়ণগঞ্জে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত শ্যামনগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত মাগুরায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্ম-বিরতি দেবহাটায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে র‍্যালি ও আলোচনা সভা আশাশুনিতে নবাগত এসিল্যান্ড যোগদান পাটকেলঘাটায় ৯ মাসের গ’র্ভা’ব’স্থায় ২ সন্তানের জননীর আ’ত্ম’হ’ত্যা! মণিরামপুরে মাসব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন কর্মসূচির উদ্বোধন তালায় সোনা চো’রাচা’লানের ভাগাভাগির দ্ব’ন্দে হ’ত্যা’র চেষ্টা, আ’ট’ক ৩ কর্মসূচি ব্যবস্থাপনার উপর সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ

শ্যামনগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

এস এম মিজানুর রহমান, শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি / ৫৪ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

“সমন্বিত উদ্যোগ, প্রতিরোধ করি দূর্যোগ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে র‍্যালিটি সড়ক ও উপজেলা চত্বর প্রদক্ষিন শেষে উপজেলা পরিষদ হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনি খাতুন সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার ভূমি রাশেদ হোসাইন ,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন, উপজেলা জামায়াতের আমীর আব্দুর রহমান, সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সভাপতি সামিউল আযম মনির, বীর মুক্তিযোদ্ধা জি এম ওসমান গনি, এনজিও প্রতিনিধি গাজী আল ইমরান,ছাত্র প্রতিনিধি সাবেক উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান নূরজাহান পারভিন ঝর্না, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার এস আই গিয়াস উদ্দীন, শিক্ষক প্রতিনিধি, ভূরুলিয়া ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান, সিপিপি প্রতিনিধি সাহজাহান প্রমূখ।

 

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি এস এম মোস্তফা কামাল, মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ, উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ,সাংবাদিকবৃন্দ,বিভিন্ন এনজিও প্রধানগন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাবৃন্দ,সিপিপি, বারসিকের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্বেচাসেবক সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

 

সভাপতি বক্তব্যে বলেন,’শ্যামনগর উপজেলা দুর্যোগ কেন্দ্রিক হওয়ায় সবসময় মানুষকে দুর্যোগের মুখোমুখি থাকতে হয়। প্রাকৃতিক দর্যোগ কমাতে হলে মানুষ সৃষ্টি দূর্যোগ কমানোর কোন বিকল্প নেই। দুর্যোগ এড়ানো সম্ভব নয়— কিন্তু সময়োপযোগী প্রস্তুতি, স্থানীয় সম্পৃক্ততা ও বিজ্ঞানভিত্তিক পরিকল্পনা ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পারে, প্রাণ বাঁচাতে পারে। কারণ, উপকূলের মানুষ দুর্যোগে নয়, প্রতিরোধেই জিততে চায়।

 

সঠিক পরিকল্পনা, জনগণের অংশগ্রহণ আর সমন্বিত উদ্যোগই পারে বাংলাদেশের উপকূলকে টেকসই সুরক্ষার পথে এগিয়ে নিতে। তিনি সকল দূর্যোগে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহন করে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।’

 

এসময় বক্তারা বলেন, উপকূলীয় এলাকায় টেকসই নদী বাঁধ, জোয়ার-ভাটার সঠিক প্রবাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, মিষ্টি পানির সংরক্ষণ এবং বিকল্প জীবিকার সুযোগ তৈরি করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।অবৈধ দখল ও অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষে বহু খাল ও জলাধার ভরাট হয়ে যাওয়ায় নিষ্কাশন ব্যবস্থার ভঙ্গুরতায় কৃষি উৎপাদন ব্যাহত সহ জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। বন্যা বা জলোচ্ছ্বাসের পানি নামতে না পেরে গ্রাম ডুবে যাচ্ছে, বেড়িবাঁধ বারবার ভেঙে পড়ছে।পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় সরকার, পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় জনগণের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এ সংকট মোকাবিলা সম্ভব নয়। প্রতিনিয়ত বেড়িবাঁধ ভাঙছে, খাল দখল হয়ে যাচ্ছে। সমন্বিত পরিকল্পনা ও জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া উপকূল টিকবে না।

 

দুর্যোগ প্রশমনে শুধু অবকাঠামো নয়, সচেতন জনগণই হতে পারে সবচেয়ে বড় প্রতিরোধশক্তি। ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের সময় সঠিক সতর্কবার্তা অনুসরণ, পরিবার ও গ্রামভিত্তিক প্রস্তুতি দল গঠন, বৃক্ষরোপণ, খাল-নদী দখলমুক্ত রাখা এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা— এসব উদ্যোগে কমানো সম্ভব প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com