• শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৩
সর্বশেষ :
ডুমুরিয়ায় মোহাম্মদ আলি আসগার লবি স্লূইচ গেট পরিদর্শন করলেন কোনো দূর্নীতি-চাঁ দা বাজের রক্ষা হবে না, মহম্মদপুরে- নিতাই রায় চৌধুরী  অসহায়দের মাঝে ভ্যান ও টিনসহ অনুদান প্রদান করলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পাথর মে রে হ ত্যা : গ্রেপ্তার ৪ সততা ও নিষ্ঠার সাথে থানা এলাকার আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমি সর্বদা স্বচেষ্ট-ওসি হাফিজুর রহমান সাতক্ষীরায় দায়িত্বরত অবস্থায় এসআই’র মৃ ত্যু মহম্মদপুরে কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন  দেবহাটা উপজেলা জাতীয় পুষ্টি কমিটির মাসিক সভা ও সমাপনী আশাশুনি যাত্রীবাহী বাস খাদে, আহত-১৪ ডুমুরিয়ায় ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে বিদ্যমান সমস্যা ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনার

চলতি মূলধনের ঋণের পরিমাণ ব্যবসায় বাড়ছে

প্রতিনিধি: / ২৭৬ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৪

অর্থনীতি: দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এখন দৈনন্দিন খরচ পরিচালনার জন্যই বেশি ব্যাংক ঋণ করতে হচ্ছে। এ জন্য তাদের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বা চলতি মূলধন হিসেবে নেওয়া ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে এসেছে। প্রতিবেদনে গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকের তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংক থেকে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নেওয়া চলতি মূলধন ঋণের স্থিতি গত ডিসেম্বর শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের শেষে এই ঋণের স্থিতি ছিল ২ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে শিল্প খাতের দৈনন্দিন ব্যবসার খরচ মেটাতে নেওয়া ব্যাংক ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৯ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। আলোচ্য তিন মাসের হিসাবে এই ঋণ বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের ব্যবসার খরচ বেড়ে যাওয়ায় চলতি মূলধনে টান পড়েছে। মূলত ডলারের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় ও ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে শতভাগ মার্জিন ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর এই সংকট তীব্র হয়েছে। যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে কাঁচামাল আমদানিতে বেশি অর্থ খরচ করতে হয় তাদের ক্ষেত্রে চলতি মূলধনের ঘাটতি সবচেয়ে বেশি। আর যাদের কাঁচামাল আমদানির খরচ তুলনামূলক কম, তাদের ক্ষেত্রে এ ঘাটতি কিছুটা কম। ব্যবসায়ীরা বলছেন,২০২২ সালের শেষার্ধ ও গত বছরের প্রথমার্ধে ডলারের বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা ছিল। এতে অনেক প্রতিষ্ঠানের বড় অঙ্কের লোকসান হয়েছে। সে কারণে তারা ঋণ করে ব্যাবসায়িক কার্যক্রম সচল রেখেছে। এ ছাড়া ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন কাঁচামাল আমদানিতে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। ব্যাংকার, শিল্পোদ্যোক্তা ও অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, গত এক বছরে চলতি মূলধন ঋণ বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হলো ডলারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। ২০২২ সালের ফে য়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে এ সংকট শুরু হয়। তখন একদিকে বিশ্ববাজারে সব ধরনের পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়, অন্যদিকে দেশে ডলার-সংকটের পাশাপাশি এটির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটতে থাকে। যে কারণে ঐ বছরের শেষ দিকে চলতি মূলধন ঋণ দ্রুত বাড়তে শুরু করে। সব মিলিয়ে অনেক শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে বড় অঙ্কের লোকসান গুনতে হয় বলে শোনা যায়।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com