• মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:০৫
সর্বশেষ :
জাতীয় ছাত্রশক্তির সাতক্ষীরা জেলা কমিটি অনুমোদন, নেতৃত্বে রুমন বখতিয়ার আঠারো বছর দেশে ভোটের নাটক হয়েছে, ভোট হয়নি : নিতাই রায় চৌধুরী সাতক্ষীরা সীমান্ত সীল, বিভিন্ন স্থানে বিজিবির চেকপোষ্ট ও টহল না.গঞ্জে আন্তর্জাতিক লেখক দিবস পালনে উদযাপন পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত ডুমুরিয়ায় বোরো রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে তরুণদের খেলার মাঠে ফেরার আহবান বকুলের শ্যামনগরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান শীতের ছুটিতে মনের প্রশান্তি দিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভ থেকে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত বিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু

ডুমুরিয়ার মাল্টা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হচ্ছে বিক্রয়

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া, খুলনা প্রতিনিধি  / ১৯৫ দেখেছেন:
পাবলিশ: বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪
মাল্টা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হচ্ছে বিক্রয়

ডুমুরিয়া উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ শুরু হয়েছে। এই উৎপাদিত মাল্টা এখানকার স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রেরণ করা হচ্ছে। এই উপজেলার উৎপাদিত মাল্টা খুবই সুস্বাদু ও রসালো। মাল্টা চাষ লাভজনক হওয়ায় রসালো ফল মাল্টার চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

উপজেলা ঘুরে মাল্টা চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে মাল্টার গাছগুলোতে প্রচুর পরিমাণ মাল্টার ফলন হয়েছে। মাল্টার বাগানে গাছে গাছে থোকায় থোকায় মাল্টা শোভা পাচ্ছে। প্রতিটি গাছে এতই বেশি মাল্টা ধরেছে যে, ফলের ভারে গাছের ডালগুলো মাটির দিকে নুয়ে পড়েছে। আর এই মাল্টা চাষেই খুলছে এই উপজেলার মানুষের ভাগ্যে চাকা। দূর-দূরান্ত হতে মাল্টা বাগানে ব্যবসায়ীরা আসছেন মাল্টা কেনার জন্য। বর্তমানে এই মাল্টাগুলো স্থানীয় বাজারগুলোতে ১শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা ৩ হাজার টাকা মণ দরে বাগান হতে মাল্টা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন।

 

এমনি একটি চিত্র চোখে পড়ে উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের থুকড়া গ্রামে। এই গ্রামের মাল্টা চাষি সেলিম জানান, উপজেলা কৃষি অফিসার সহযোগিতায় ২০০০ সালে ২০শতক জমিতে মাল্টা বাগান গড়ে তুলি। গত বছরে ৫০ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করেছি। চলতি মৌসুমে পাইকাররা ১০০শত টাকা দাম কমে বিক্রি করবেন না বলেছেন, তিনি ৫০হাজার টাকার মাল্টা বিক্রির দাবি করছেন।

 

ডুমুরিয়া মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জি এম আমানুল্লাহ, জানান, তাদের উৎপাদিত পাকা মাল্টা উত্তোলন করা শুরু হয়েছে। তাদের উৎপাদিত মাল্টাগুলো বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। মাল্টা চাষ করে তারা লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, এই উপজেলার মাটি মাল্টা চাষের জন্য উপযোগী। উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় দিন দিন এই উপজেলায় মাল্টা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে এই এলাকার মাল্টা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় প্রেরণ করা হচ্ছে। এ উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ হচ্ছে। চলতি মৌসুমে কুমারেশ মন্ডল নামে এক মাল্টা চাষি সরাফ পুর ইউনিয়নে
কালিকাপুর দত্ত ডাঙ্গায় ১শ শতক জমিতে মাল্টার বাগান লাগানো শুরু করেছেন।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com