সাত বছরের বাক প্রতিবন্ধী শিশু সন্তানসহ সীমা বেগম নামের এক গৃহবধুর উপর হামলা চালিয়েছে ধলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। শনিবার সকালে কালিগঞ্জের ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। আহত মা ও ছেলেকে স্বজনদের সহযোগীতায় শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছে বাক প্রতিবন্ধী ছেলের মাথায় আঘাত গুরতর বলে তাকে পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে। সীমা বেগমের শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন মিলেছে বিধায় সেও হাসপাতালে ভর্তি।
চিকিৎসাধীন সীমা জানান, তার স্বামীর সাথে আগের দিন বিকালে খেলার মাঠে অন্যদের ঝগড়া হয়। সে সময় তার স্বামীর সাথে ঝগড়ার একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের একজন আহত হয়। সে ঘটনার জেরে স্বামী বাড়িতে না থাকার পরও রাতে এসে স্থানীয় মোবারক মেম্বর তার ঘরের দরজা ধাক্কাধাক্কি করে। তবে কোনভাবে তিনি দরজা না খোলায় দরজা ভাঙার চেষ্টাও চালায় তারা। একপর্যায়ে তার চিৎকারে মোবারক সাথে নিয়ে আসা লোকজনকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
তবে শনিবার সকালে বিএনপি থেকে ২০২১ সালে আ’লীগে যোগ দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নবনির্বাচিত হওয়া শওকত আলীকে নিয়ে আবারও তার বাড়িতে হামলা করে। এসময় হাতে থাকা লাঠি দিয়ে বেপরোয়া মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে মাকে রক্ষায় বাক প্রতিবন্ধী ছেলেটি এগিয়ে এলে তার বাক প্রতিবন্ধী ছেলের মাথা ও শরীরে আঘাত করে শওকত ও তার লোকজন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত শাকির হোসেন বলেন মারাত্বক আহত অবস্থায় মা ছেলেকে হাসপাতালে নেয়া হয়। মায়ের কানের পাতা ছিঁড়ে যাওয়ায় সীমার কানে তিনটি সেলাই দেয়া হয়েছে। বাক প্রতিবন্ধী শিশুর মাথার আঘাত বেশ গুরতর।
https://www.kaabait.com