ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শোক, ক্ষোভ ও প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজধানীর শাহবাগ চত্বর। দাফন শেষে শিক্ষার্থী-জনতার বিক্ষোভে মুখরিত এলাকায় ‘হাদি, হাদি’ স্লোগানে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগ দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম ঘোষণা করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হাদির দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী, ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ শাহবাগ চত্বরে অবস্থান নেন। সমাবেশে তারা হাদির স্মরণে শোকপ্রকাশের পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত, দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। ব্যানার, ফেস্টুন ও স্লোগানে উঠে আসে হাদির সংগ্রামী জীবনের নানা বার্তা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পদত্যাগ না করলে শিক্ষার্থী-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়া হবে। তারা এই হত্যাকাণ্ডের দায় এড়ানো যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধের পাশে শরিফ ওসমান হাদিকে শায়িত করা হয়। দাফনকালে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, ডাকসুর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাসহ হাদির পরিবার-পরিজন উপস্থিত ছিলেন।
দাফন শেষে হাদির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এরও আগে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শরিফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
লাখো মানুষের অংশগ্রহণে জানাজায় ইমামতি করেন হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া মো. গোলাম পরওয়ার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। জানাজাপূর্ব বক্তব্য রাখেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব জাবের ও ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
https://www.kaabait.com