• রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৩:২১
সর্বশেষ :
শ্যামনগরে প্রতিবন্ধীর জায়গা দ খ লের অপচেষ্টা, মা ম লা দেবহাটায় ডাঃ শহিদুল আলমের ৩১দফা বাস্তবায়নে প্রচারনা শুরু মণিরামপুরের যমযমিয়া দাখিল মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি মনোনয়নকে কেন্দ্র করে তোপের মুখে সুপার খেশরায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ বিএনপি মাটি ও মানুষের দল, নেতা নির্ভর দল নয়- নিতাই রায় চৌধুরী বিএনপি ক্ষমতায় আসলে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে: ডা. শহিদুল আলম তালায় সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলামের অংশগ্রহণে জগন্নাথ রথযাত্রা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অবৈধ ইটের পাঁজায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডোপ টেস্ট করা হবে–জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালা

শ্যামনগরে ক্রয়কৃত ও জাল সনদে চাকরী নেওয়া হাফিজুর সরকারী স্কুলের লাইব্রেরিয়ান থেকে শিক্ষক 

এস এম মিজানুর রহমান শ্যামনগর, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি / ১৬৬ দেখেছেন:
পাবলিশ: মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪

শ্যামনগরে ক্রয়কৃত ও জাল সনদে লাইব্রেরিয়ান থেকে পরবর্তীতে সরকারী স্কুলের  সহকারী শিক্ষক হয়েছেন মো: হাফিজুর রহমান। সাতক্ষীরা  জেলার শ্যামনগর উপজেলাধীন নকিপুর সরকারি হরিচরন পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জনাব মোঃ হাফিজুর রহমান এইচ এস সি পরীক্ষায় নকল করার দায়ে বহিষ্কৃার হন।
পরবর্তীতে উম্নুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এইচ এস সি ও বিএ পাস করেন। তৎকালীন সময়ে নকিপুর এইচ এস সি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে তিনি তড়িঘড়ি  করে দারুল এহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাইব্রেরিয়ান  সাইন্সে ডিপ্লোমার সনদ ক্রয় করে আবেদন করেন এবং ২০১১ সালে কৌশলে চাকুরীও পেয়ে যান।
যেহেতু চাকুরীকালীন সনদ জাল ছিল সেহেতু তিনি আবারও পরীক্ষা দেওয়ার কথা বলে জাল সনদ দিয়ে বেতন গ্রহন করেন। স্কুল সরকারীকরনের ঘোষণা আসলে তিনি পূনরায় শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। পরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এড সনদ ক্রয় করেন।
উল্লেখ্য  তার লাইব্রেরিয়ান  সাইন্সের সনদ ও বি এড সনদ একই সনের। ১৯৮৩ বিধিতে স্কুলটি সরকারী হলেও সেখানে কোথাও লাইব্রেরিয়ান  শিক্ষক হবে এমন বিধান ছিলনা, শুধুমাত্র  প্রধান শিক্ষকের আনুকূল্যের কারনে এটা সম্ভব হয়েছিল। উল্লেখ্য  ২০২০ সালে বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর ওড়না টেনে শ্লীলতাহানির অপরাধে এফ আই আর ভূক্ত কেসের  আসামী হয়ে তিনি দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকেন। আলোচিত  এই শিক্ষক ক্লাস করার পরিবর্তে থানায় ও অফিস পাড়ায় বেশি তদবীরে থাকেন বলে শিক্ষক ও অবিভাবকবৃন্দ অভিযোগ তুলেছেন। তিনি সহকর্মীদের সব সময় ষড়যন্ত্র ও হুমকিতে রাখতে পছন্দ করেন। সঙ্গত কারনে নকলের দায়ে অভিযুক্ত জাল সনদে চাকরী করা হাফিজুর রহমানের সকল প্রাতিষ্ঠানিক সনদের বিষয়ে  তদন্ত পূর্বক উদ্ধোতন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন অত্র স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ, প্রতিষ্ঠানের অবিভাবকবৃন্দ এবং সচেতন মহল।
এবিষয়ে মোঃ হাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি জাল কাগজপত্র জমা দিয়ে চাকরি করছি।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com