• রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১০:৩৫
সর্বশেষ :
সাতক্ষীরা পোল্ট্রি হ্যাচারীজের তৃতীয় তলার ছাদ ঢালাই কাজের উদ্বোধন শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ডুমুরিয়ায় ড্রিপসেচ পদ্ধতিতে ড্রাগন ফলের চাষ কালিগঞ্জে গাঁজাসহ যুবক পুলিশের জালে আটক ঈদ উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র‍্যাব এর বাড়তি নিরাপত্তা, চেকপোস্ট বসিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি মণিরামপুরের বালিয়ার খালের মোহনায় মৎস্যঘের নির্মাণ চেষ্টার অভিযোগ ছাত্রদল সভাপতির পদ হারানোর গুঞ্জন, সম্পাদক বললেন প্রোপাগান্ডা ডুমুরিয়ায় অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করলেন উপজেলা প্রশাসক বিশ্বমাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস উপলক্ষে শ্যামনগরে আলোচনা সভা শ্যামনগরে ব্ল্যাক মেইলের অভিযোগে কলেজ পড়ুয়া ছাত্র সংবাদ সম্মেলন

স্যাটেলাইট নিয়ে সুন্দরবন থেকে পালিয়েছেএকটি কুমির

প্রতিনিধি: / ১৯৬ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সৈয়দ শওকত হোসেন,,বাগেরহাট: কুমিরের আচরণ ও গতিবিধি জানতে সম্প্রতি চারটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনে ছেড়ে দেয়া হয়েছিলো। এর মধ্যে তিনটি সুন্দরবনের ভিতরে ঘুরে বেড়ালেও এর একটি কুমির বন ছেড়ে মোংলা, বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ হয়ে এখন পিরোজপুরে ঢুকে পড়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন করমজল বণ্য প্রাণী কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির।
 আজাদ কবির এ প্রতিবেদক কে বলেন ‘ সুন্দরবনের লোনা পানির চারটি কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগানোর পরে দেখা যাচ্ছে, এর তিনটি সুন্দরবনে ফিরে গেলেও একটি বহু পথ ঘুরে এখন বরিশাল বিভাগের জেলা পিরোজপুরে ঘোরাফেরা করছে। মাত্র এগারো দিনে প্রায় একশো কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে কুমিরটি।
গায়ে বসানো স্যাটেলাইটের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে কুমিরটি বুধবার থেকে এখন পর্যন্ত   পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার তুষখালির একটি নদীতে রয়েছে।
আজাদ কবিরের মতে , নির্দিষ্ট সময় পর হয়তো আবারো সুন্দরবনে ফিরে আসতে পারে কুমিরটি। তবে আপাতত সে তার নিজের জন্য নিরাপদ পরিবেশ খুঁজছে।
গত ১৬ মার্চ স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে কুমিরটি অবমুক্ত করা হয়েছিলো সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্টে। এর আগে এ কুমিরটিরে ঝালোকাঠি জেলার একটি নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।
কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে নদীতে অবমুক্ত করার কাজটি যৌথভাবে করছে বন বিভাগ ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন)। তাদের সহযোগিতা করছে, জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকনোমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (জিআইজেড)।
তিনি বলেন, “সুন্দরবনের কুমির কোথায়, কিভাবে বিচরণ করে তা নিয়ে বিস্তারিত কোন গবেষণা হয় নি। সে কারণেই স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে এই গবেষণাটি করা হচ্ছে”।
বিশ্বে পাখি, কচ্ছপ, নেকড়েসহ বিভিন্ন প্রাণীর শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে তাদের আচরণ নিয়ে গবেষণার নজীর রয়েছে। তবে বাংলাদেশের কুমির নিয়ে এভাবে গবেষণা এই প্রথম করা হচ্ছে।
গত ১৩ থেকে ১৬ই মার্চের মধ্যে মোট চারটি লোনা পানির কুমিরে এই স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো হয়। এই চারটি কুমিরের মধ্যে দুটি পুরুষ এবং দুইটি স্ত্রী কুমির।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com