• রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০২:৩১
সর্বশেষ :
শ্যামনগরে প্রতিবন্ধীর জায়গা দ খ লের অপচেষ্টা, মা ম লা দেবহাটায় ডাঃ শহিদুল আলমের ৩১দফা বাস্তবায়নে প্রচারনা শুরু মণিরামপুরের যমযমিয়া দাখিল মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি মনোনয়নকে কেন্দ্র করে তোপের মুখে সুপার খেশরায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ বিএনপি মাটি ও মানুষের দল, নেতা নির্ভর দল নয়- নিতাই রায় চৌধুরী বিএনপি ক্ষমতায় আসলে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে: ডা. শহিদুল আলম তালায় সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলামের অংশগ্রহণে জগন্নাথ রথযাত্রা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অবৈধ ইটের পাঁজায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডোপ টেস্ট করা হবে–জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালা

বগুড়া বাজারে বেড়েছে আদা-রসুন ও পিঁয়াজের আকাশ ছোয়া মূল : ক্রেতাদের নাভিশ্বাস 

বগুড়া প্রতিনিধি / ১৭৪ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
বাজারে বেড়েছে আদা-রসুন ও পিঁয়াজের মূল

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বেড়েই চলেছে আদা-রসুন ও পেঁয়াজের দাম। এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আলুর দাম। কাঁচা মরিচও বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজিতে। বাজারে বর্তমানে ৫০/৬০ টাকার নিচে কোন সবজিই কিনতে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ক্রেতাদের বাজারে গেলেই চরম অস্বস্থিতে ও বিপাকে পড়তে হচ্ছে। এই অবস্থায় অনেক ক্রেতা বাজারের সবজির তালিকা কাটছাট করছে।
আজ ( সোমবার)  সকালে উপজেলার কয়েকটি বাজারে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি আদা মানভেদে ৪৫০ টাকা, দেশি রসুন ২৪০ টাকা, পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ পাল্লা দিয়ে ১৮০ টাকায়, বাজার থেকে একটু দুরে গলির ভেতরে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগের ৪০/৪৫ টাকার দরের আলু জাদভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুন,, করল্লা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। লাউ মানভেদে ৩০/৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারদের গুদামে প্রচুর পেঁয়াজ, রসুন,আলূ মজুদ অবস্থায় দেখা গেল। তবে পটলের দাম কমে বর্তমানে ৪০/৫০ টাকায়, শশা ও ঢেড়স বর্তমানে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুকনো মরিচের কেজি ৫০০ টাকা। এদিকে সরকার প্রতিকেজি খোলা চিনির দাম ১৬৪ টাকা। আবার বোতলজাত সোয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়। ডিমের হালি বর্তমানে ৪০/৪৫ টাকা। মাছের বাজারেও স্বস্থি নেই।
কাতল মাছ একটু বড় হলে তা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০/৪০০ টাকায়, ফার্মের টেংরা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি দরে। ব্রয়লার মুরগি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায় এবং পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা,দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০/৬০০ টাকায়। উপজেলার সান্তাহারের দুটি হাট ও বাজার ঘুরে দেখা গেল, মাংস বিত্রেতারা সান্তাহার পৌরসভা কর্তৃক নির্ধরিত মুল্যে গরু ও মহিস ৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৯০০ টাকায় বিক্রি করছে। গত সপ্তাহে এক সভায় সান্তাহার পৌর কর্তৃপক্ষ, ,সাংবাদিক ও মাংস বিক্রেতাদের যৌথ সভায় মাংসের এই মুল্যে নির্ধারিত হয়।
সান্তাহার বাজারের কাঁচা সবজি ব্যবসায়ী আকবর আলী  জানান আদা-রসুন বরাবারই আমদানি পণ্য। আমদানিকারক, আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের যৌথ সিন্ডিকেটের কারনে কয়েকটি পন্যের দাম বেড়েছে। ক্রেতা মোহসীন আলী ও মুনসুর রহমান জানান  বর্তমানে প্রায় প্রতিটি পন্যের দাম বেড়েছে। কিন্তুু আমাদের আয় তো বাড়েনি। ফলে আগে যে পরিমান নানা পন্যে কিনতাম,তা কাটছাট করে চলতে হচ্ছে। আগে সপ্তাহে মাছ,মাংস ৫ দিনে খেলে বর্তমানে ২/৩ দিন খাই। আদা,বিভিন্ন মসল্লা খাওয়া খুবই কম করছি। তাছাড়া  বাজার মনিটরিং নেই বললেই চলে।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com