• সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১১:০৫
সর্বশেষ :
প্রচার মাইকের যন্ত্রণা, অটোরিকশাসহ যানবাহনের হর্ণের বিকট শব্দে নাকাল ডুমুরিয়া তালায় ফসল, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ খাতের সফল উদ্যোক্তাদের মাঝে সম্মাননা প্রদান তালা-কলারোয়ার সিংহভাগ উন্নয়ন বিএনপির আমলেই হয়েছে : হাবিবুল ইসলাম শ্যামনগরে প্রতিবন্ধীর জায়গা দ খ লের অপচেষ্টা, মা ম লা দেবহাটায় ডাঃ শহিদুল আলমের ৩১দফা বাস্তবায়নে প্রচারনা শুরু মণিরামপুরের যমযমিয়া দাখিল মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি মনোনয়নকে কেন্দ্র করে তোপের মুখে সুপার খেশরায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ বিএনপি মাটি ও মানুষের দল, নেতা নির্ভর দল নয়- নিতাই রায় চৌধুরী বিএনপি ক্ষমতায় আসলে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে: ডা. শহিদুল আলম তালায় সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলামের অংশগ্রহণে জগন্নাথ রথযাত্রা অনুষ্ঠিত

মণিরামপুরে ছোটস্ত্রীকে জ বা ই করে হ ত্যার অভিযোগ

নূরুল হক, মনিরামপুর প্রতিনিধি / ৭২ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫

মণিরামপুরে ছোট স্ত্রী স্বরুপ জাহান সাথীকে জবাই করে হত্যার পর বড় স্ত্রীসহ স্বামী আবদুর রশিদ মিটু পালিয়ে গেছে। নৃশংস এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে রোববার গভীর রাতে উপজেলার খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামে স্বামীর রাইস মিলর একটি কক্ষে।

 

সোমবার সকালে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

 

নৃশংসতম এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা দুপুরে মিটুর বাড়ি ও রাইস মিল হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। তবে ঘাতকসহ কাউকে পুলিশ আটক করতে পারেনি। নিহতের স্বজন ও পুলিশর দাবি ছোট স্ত্রীর পিতার বাড়ির সম্পত্তি বিক্রি করে দ্বিতীয় দফায় টাকা এনে না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সাথীকে হত্যা করেছে স্বামী মিটু।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত জাহাতাপ মুন্সির ছেলে আবদুর রশিদ মিটু ছিল একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক বিক্রেতা হিসেবে পরিচিত। ইতোপূর্বে সে অস্ত্র ও মাদকসহ র‌্যাবের হাতে আটক হয়ে কয়েকমাস হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হয়।

 

পরে সে এলাকায় আবারও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও মাদকের কারবার শুরু করে। খাটুয়াডাঙ্গা বাজারের পাশে মিটুর রয়েছে একটি রাইসমিল ও চাতাল। চাতালের পাশেই তার পাকা বাড়ি। এ বাড়িতেই স্ত্রী সন্তানসহ বসবাস করতো মিটু। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে তিন বছর আগে তার চাতালের শ্রমিক স্বরুপ জাহান সাথীর সাথে মিটু পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায় সাথীক মিটু বিয়ে করন। সাথী কাজিয়াড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম বক্সর স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে। বিয়ের পর ছোট স্ত্রী সাথীকে নিয়ে চাতালের আর একটি কক্ষে বসবাস করতো মিটু।

 

সাথীর মা ভানু বিবি জানান, গতবছর সাথী পিতার বাড়ির জমি বিক্রি করে ৪ লক্ষ টাকা দেয মিটুকে। গতমাসে আবারও মিটু সাথীকে চাপ দেয় পিতার বাড়ির বাকি জমি (সাথীর অংশ) বিক্রি করে টাকা এনে দেওয়ার জন্য। কিন্তু সাথী দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়েই মূলত: সাথীর সাথে মিটুর বিরোধ দেখা দেয়। রোববার রাতে খাবার শেষে মিটু এবং সাথী চাতালের ঘরে ঘুমাতে যায়। গভীর রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মিটু ঘুমান্ত অবস্থায় সাথীকে জবাই করে হত্যা করে। ওই রাতেই বড় স্ত্রী, ছেলে রিফাত ও মেয়েকে নিয়ে মিটু বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সোমবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাথীর মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নৃশংসতম এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা মিটুর বাড়ি ও রাইস মিলে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।

 

সহকারি পুলিশ সুপার (মণিরামপুর সার্কেল) ইমদাদুল হক, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ গাজী, যশারর ডিবি ও পিবিআই পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেসে মাঠে নেমেছেন হত্যার ক্লু উদঘাটন ও হত্যাকারীকে আটকের জন্য।

 

ওসি নূর মোহাম্মদ গাজী জানান, মিটু ছিল একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক বিক্রেতা। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধীক মামলা রযেছে। এ রিপোর্ট লেখার সময় সাথী হত্যাকান্ডর ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com