• মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৬
সর্বশেষ :
নগরঘাটায় তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত সিদ্ধিরগঞ্জে আঁধারে আলো প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থা’ উদ্যোগে প্রতিবন্ধীদের মাঝে চাল বিতরণ শ্যামনগরে দিলীপ গং ও রঘুনাথের রোসানাল থেকে বাচতে দিনমজুরের মানববন্ধন ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়নের নতুন রাস্তা আঞ্চলিক অফিসে নেতা-কর্মিদের সাথে মতবিনিময় আশাশুনিতে পুলিশ সদস্যের বি’রু’দ্ধে দু’র্নী’তির অ’ভি’যোগ দেবহাটায় সাবেক ছাত্রদল নেতাদের উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালনে প্রস্তুতি সভা চিংড়ি চাষে ভাগ্যবদল, ডুমুরিয়ার মারুফ এখন সফলতার রোল মডেল সাতক্ষীরার উপকূল গাবুরার মাঠে মেয়েদের স্বপ্নের জয়যাত্রা: ঘরের চার দেয়াল ভেঙে এক নীরব বিপ্লব শ্যামনগরে সড়ক ও জনপদের জায়গা অ’বৈধ স্থাপনা উ’চ্ছেদ দায়সারা, পুনরায় বে-দখল নদীর চর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় যুবককে উ’দ্ধার

খুঁটি দাড়িয়ে আছে, কিন্তু বিদ্যুৎ লাইন আর আসে না।শিক্ষার্থীদের  অন্ধকারে ল্যাম্প এর  আলোয় দিনের পর দিন পড়াশোনা করতে হচ্ছে”

প্রতিনিধি: / ২৬২ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ৪ মার্চ, ২০২৪

মেজবাহ ফাহাদ -মোরেলগঞ্জ: বাগেরহাট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির  আওতায় চার বছর আগে খুঁটি বসানো হলেও সংযোগ না দেওয়ায় বিদ্যুৎ পাচ্ছে না বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার  ২ নং পঞ্চকরন  ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের পঞ্চকরন  গ্রামের আট পরিবারের অর্ধশতাধিক মানুষ। বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য মোরেলগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে দৌড়ঝাঁপ করেও কোনো ফলাফল পায়নি বলে জানান এই  পরিবারের সদস্যরা।এর ফলে ২০ বছর ধরে বসবাসরত পরিবারগুলো শেখ হাসিনা সরকারের বিদ্যুতের আলোর মর্ম বুঝতে পারে নি।

জানা গেছে, পঞ্চকরন  গ্রামের শতাধিক পরিবারকে বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়ার জন্য ২০১৮ সালের শেষের দিকে বিদ্যুতের খাম্বা বসানো হয়। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে এই গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হয়।

তখন ওই পরিবারগুলো বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বঞ্চিত হয়,পরবর্তীতে পরিবারগুলো অনেক দৌড়ঝাঁপ করার পর  সংযোগ পেতে বিদ্যুৎ কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপে তিনটা ৩৫ ফুটের বৈদ্যুতিক  খাম্বা বসানো হয়,কিন্তু খাম্বা লাগানোর কয়েক বছর পার হয়ে গেলেও আজ অবদি সংযোগ না দেওয়ায় স্থানীয় মহাসিন  হাওলাদার শজিব হাওলাদার,  মিলন হাওলাদার  হাছান হাওলাদার,  কুলসুম বিবি, জব্বার শেখের পরিবারসহ মোট সাতটি পরিবার চরম ভোগান্তিতে আছে। বিদ্যুৎ  কর্তৃপক্ষের এখোনো দৃষ্টিগোচর হয়নি অসহায় পরিবারগুলো। সরেজমিনে দেখা যায়  তাদের অনেকের ঘরে বিদ্যুতের জন্য ওয়্যারিং করানোর পর প্রায় এক বছর হয়ে গেলেও বিদ্যুতের আলো পাচ্ছেন না তারা।

এই পরিবারগুলোর মধ্যে  কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন,  দিনভর উপবাসের পরে সন্ধ্যায় পড়াশোনা করার সময়ে হাত পাখা দিয়ে মশা তাড়াতে হচ্ছে। ল্যাম্প এর  আলোয় দিনের পর দিন পড়াশোনা করতে হচ্ছে,কবে তারা কবে বিদ্যুুতের আলোয় আলোকিত হবে জানে না।

এদিকে ভুক্তভোগীরা বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য যা যা করণীয় তার সবই আমরা করেছি। গ্রামের সকল বাড়িতে লাইন সংযোগ দিলেও আমাদের এ কয়টি বাড়িতে পরে সংযোগ দেবে বলে ঠিকাদার চলে যায়। এরপর আমরা যতবার যোগাযোগ করেছি, দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপণ করা হচ্ছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এর কোনো সঠিক সমাধানসহ বিদ্যুৎ সংযোগ পেলাম না। আমরা যাতে দ্রুত সংযোগ পেতে পারি সেজন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।

বিষয়টি নিয়ে বাগেরহাট  পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মোরেলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ওয়াদুদ  খন্দকার বলেন, আমি এই উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি,আমরা সরকারের পক্ষ থেকে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সেবা পৌছে দিতে বদ্ধপরিকর, ৮ টি পরিবার বিদ্যুৎবীহিন অবস্থায় আছে এ ঘটনাটি দুঃখ জনক,বিদ্যুতের খাম্বায় কেন লাইন টানা হয়নি বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো এবং সংযোগ লাইন  দেওয়ার ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবো।

এ বিষয়ে বাগেরহাট  পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার সুশান্ত রায় বলেন,বিষয়টি আমি অবগত হলাম। ওই পরিবারগুলো যাতে দ্রুত বিদ্যুৎ পায় সে ব্যাপারে উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com