• বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৫৫
সর্বশেষ :
দরগাহপুরে কাজী আলাউদ্দীনের নির্বাচনী প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ ব্যাংকের বুথ প্র’ত্যা’হার ঠেকাতে কৃষ্ণনগর বাজার ব্যবসায়ীদের মান’বব’ন্ধন শেখ হাসিনার বহরে হা’ম’লা মা’ম’লায় সাবেক এমপি হাবিবসহ সব আসামির খালাস, মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল কোমরপুরে চোখের ছানি অপারেশন ও চিকিৎসা ক্যাম্পেইন ডুমুরিয়ায় সিনজেন্টা কোম্পানি রিটেইলার মতবিনিময় কর্মশালা শ্যামনগরে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐক্যজোটের বি’ক্ষো’ভ মিছিল ও সমাবেশ ডুমুরিয়ায় ইউনাইটেড কোম্পানি রিটেইলার মতবিনিময় কর্মশালা কলারোয়ায় ৫ দিনের শিশু কন্যাকে খালে ফেলে হ’ত্যা, মা গ্রে’প্তা’র হাসানপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা কাকরের বি’রু’দ্ধে অ’প’ক’র্মের পাহাড়: র’ক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ২টি ষাঁড় পালনের মধ্য দিয়ে সফল নারী খামারী ফরিদা

সিয়াম প্রেম নিয়ে যা বললেন

প্রতিনিধি: / ২৫৩ দেখেছেন:
পাবলিশ: বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

বিনোদন: একের পর এক চমক নিয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হচ্ছেন জনপ্রিয় অভিনেতা সিয়াম আহমেদ। কয়েক দিন আগেই ওটিটি প্ল্যাটফরমে মুক্তি পেয়েছে তাঁর ওয়েব সিরিজ ‘টিকিট’। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে মুক্তি পেয়েছে সিয়াম অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘দ্য ফার্স্ট লাভ’। বসন্তের পাশাপাশি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসও ছিলো গতকাল বুধবার। এই বিশেষ দিনে নিজের ভালোবাসার গল্প জানালেন এই অভিনেতা। বন্ধুর বোন শাম্মা রুশাফি অবন্তীর সঙ্গে নয় বছরের পরিচয় সিয়ামের। আর সাত বছর তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। এরপর ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর অবন্তীকে বিয়ে করেন সিয়াম। দাম্পত্য জীবনের অর্ধযুগ পার করেছেন এই দম্পতি। অবন্তীর সঙ্গে পরিচয়ের গল্পটা গণমাধ্যমে বলার সময় সিয়াম জানান-অবন্তীকে যখন প্রথম দেখেন, তখন তিনি কাঁদছিলেন। মূলত কান্নার কারণেই প্রথম সিয়ামের নজরে আসেন অবন্তী। সিয়াম বলেন, ‘অবন্তীদের উত্তরার বাড়ির ছাদে বন্ধুদের একটা আড্ডায় তাকে প্রথম দেখা। দিন-তারিখ এখনো মনে আছে, ২০১১ সালের ৩ নভেম্বর। যেহেতু অবন্তীর বড় বোন (অপির্তা) আমার বন্ধু, তাই অন্য বন্ধুরাসহ সেদিন আমাদের আড্ডা হয়। ওই সময়ে ওর আম্মু হজ করতে যান। প্রথম অবন্তীকে যখন দেখি, তখন সে কাঁদছিল। মা ভিডিও কলে কথা বলছিলেন, মেয়ে কাঁদছিল দেখে আমার কিছুটা অবাক লাগে। কান্নার কারণে প্রথম নজরে আসে।’ ওই বছরের ঈদের দুই দিনের পরে অবন্তীর বাড়িতে সিয়াম ও তাঁর বন্ধুদের আড্ডা হয়। সেদিন বন্ধুরা মিলে বাজার করে নিয়ে যান তাঁদের বাসায়। সবাই মিলে রান্নাবান্না ও খাওয়াদাওয়া করেন। চলে আড্ডা। তখনো সিয়ামকে ভাইয়া বলেই ডাকতেন অবন্তী। সেই ঈদের স্মৃতিচারণা করে অবন্তী বলেন, ‘ঈদের দুই দিন পর এসে ওরা সবাই রান্নাবান্না করে। আমিও সিয়ামকে বলেছি ভাইয়া, আপনাকে চিকেন দিই? খিচুড়ি দিই?’ পরের বছর ২০১২ সালের জানুয়ারিতে একটা পিকনিকে আবারও দেখা হয় তাঁদের। তখনো মনের লেনদেন হয়নি অবন্তী-সিয়ামের। এর কিছুদিন পর আরেক বন্ধুর ছাদে ফের দেখা হয় তাঁদের। সেদিন সব আড্ডা শেষে দুজনের একটা ছবি তোলা হয়েছিল। অবন্তীর বোনই চেয়েছিলেন ছবিটা তুলতে। কারণ একটা ঘটনায় দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। অর্পিতা চাইছিলেন না এটা আরো দীর্ঘ হোক। তাই ছবিটি তুলেছিলেন। সিয়াম আজও ছবিটা যতœ করে রেখে দিয়েছেন। একসময় দুজনের ফোন নম্বর আদান-প্রদান হয়। দুজনের সম্পর্ক ভালোবাসায় রূপ নেয়। তৈরি হয় নির্ভরতা। তবে অবন্তী-সিয়ামের ভালোবাসায় কিছুটা জটিলতা তৈরি হয় যখন পড়াশোনার জন্য দেশের বাইরে চলে যান এই অভিনেতা। এ প্রসঙ্গে সিয়াম বলেন, ‘সম্পর্কটা কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যায় যখন আমি পড়াশোনার জন্য লন্ডনে চলে যাই। তবে সেই চ্যালেঞ্জ অবন্তীর কারণে খুব চমৎকারভাবে উতরে যাই।’ মা-বাবার একমাত্র সন্তান সিয়াম যেদিন পড়াশোনার জন্য দেশ ছাড়ছেন, সেদিন বিমানবন্দরে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। মা-বাবার পাশাপাশি সেদিন অবন্তীও কেঁদেছিলেন। সিয়াম বলেন, ‘আমি চলে যাওয়ার পর প্রতি সপ্তাহে আমার বাসায় গিয়ে মা-বাবার সঙ্গে দেখা করত অবন্তী। নিজের মা-বাবার মতো ট্রিট করত। আমার তো ভাই-বোন নেই। তখন বিষয়গুলো আরো ভাবাত। ধীরে ধীরে ওর প্রতি আমার ভালোবাসা আরো বেশি বাড়তে থাকে। একটা সময় তো আমরা বিয়ে করলাম। সেই বিয়ের ছয় বছর চলছে।’


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com