• বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৩৬
সর্বশেষ :
পাইকগাছায় সরদার বাড়ির মেয়ে রত্নগর্ভা ডালিমের ত্যাগ, শাসন আর সাফল্যের অনন্য গল্প কোন দলে যোগ দিচ্ছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া? এখনই কার্যকর নয় দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ, জানা গেল কারণ শ্যামনগরে নিরাপদ সুপেয় ও কৃষি কাজে ব্যবহার উপযোগী পানির সহজলভ্যতা বৃদ্বির জন্য অ্যাডভোকেসী সভা পদত্যাগ করেছেন উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শীতকালীন ছুটি বাতিল সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক নারী প্রতিরোধ পক্ষ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা না.গঞ্জ সদরে দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ মহান মুক্তিযুদ্ধে সাতক্ষীরার ভূমিকা ইতিহাসের পাতার স্বর্নাক্ষরে জ্বলজ্বল করবে অনধিকাল ধরে তফসিল: ১০ ডিসেম্বর সিইসির বক্তব্য ধারণ করবে বিটিভি ও বেতার

একুশে পদক পাবেন বাগেরহাটের কবি ‘রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’

প্রতিনিধি: / ২৯৭ দেখেছেন:
পাবলিশ: বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

বাগেরহাট প্রতিনিধি: ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় মরণোত্তর একুশে পদক-২০২৪ পাবেন বাগেরহাটের মোংলার সন্তান “ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো” গানের স্রষ্টা তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক দ্রোহের কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরীন ফারজানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পদক প্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে একুশে পদক-২০২৪ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। এ তালিকায় ভাষা ও সাহিত্যে শ্রেণিতে নাম রয়েছে এ সাহিত্যিকের।

কবি হিসেবে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ১৯৫৬ সালের ১৬ অক্টোবর বরিশালের রেডক্রস হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস বাগেরহাটের মোংলা থানার মিঠাখালী গ্রামে। তার প্রকৃত নাম শেখ মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ। রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ নামটি তিনি নিজে গ্রহণ করেন।

মা শিরিয়া বেগম। বাবা শেখ ওয়ালীউল্লাহ ছিলেন চিকিৎসক। রুদ্র ঢাকা ওয়েস্ট অ্যান্ড হাই স্কুল থেকে এসএসসি, ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮০ সালে বিএ অনার্স (বাংলা) ও ১৯৮৩ সালে এমএ পাস করেন।

ছাত্রজীবনেই তার দুটি কাব্য ‘উপদ্রুত উপকূল’ (১৯৭৯) ও ‘ফিরে চাই স্বর্ণগ্রাম’ (১৯৮১) প্রকাশিত হয়। এ দুটি কাব্য তাকে কবিখ্যাতি এনে দেয়।

জানা গেছে, মাত্র ৩৫ বছরের (১৯৫৬-১৯৯১) স্বল্পায়ু জীবনে তিনি সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং ভালো আছি ভালো থেকো সহ অর্ধ শতাধিক গান রচনা ও সুর করেছেন। পরবর্তীকালে এ গানটির জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি প্রদত্ত ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন। এ ছাড়াও নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি।

‘উপদ্রুত উপকূল’ ও ‘ফিরে চাই স্বর্ণগ্রাম’ কাব্যগ্রন্থ দুটির জন্য ‘সংস্কৃতি সংসদ’ থেকে পরপর দুবছর ‘মুনীর চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

অকাল প্রয়াত এই কবি তার কাব্য যাত্রায় যুগপৎ ধারণ করেছেন দ্রোহ ও প্রেম, স্বপ্ন ও সংগ্রামের শিল্পভাষ্য। ‘জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরোনো শকুন’ এই নির্মম সত্য অবলোকনের পাশাপাশি ততোধিক স্পর্ধায় তিনি উচ্চারণ করেছেন ‘ভুল মানুষের কাছে নতজানু নই’। যাবতীয় অসাম্য, শোষণ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অনমনীয় অবস্থান তাকে পরিণত করেছে ‘তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক’-এ। একই সঙ্গে তার কাব্যের আরেক প্রান্তর জুড়ে রয়েছে স্বপ্ন, প্রেম ও সুন্দরের মগ্নতা। দেশ ও জাতির সংকটে রুদ্রের কবিতা হয়ে উঠেছে তারুণ্যের হাতিয়ার।

তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক দ্রোহের কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ১৯৯১ সালের ২১ জুন ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com