• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১০:১৩
সর্বশেষ :
সাতক্ষীরায় আইআরআই’র আয়োজনে ‘তর্কে বিতর্কে উপজেলা নির্বাচন’ নির্বাচনী বিতর্ক অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কে মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট   শ্যামনগরে মৎস্য ঘের জবর দখল ও লুটপাটের প্রতিবাদে মানববন্ধন ডুমুরিয়ায় জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ ও মৎস্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কালিগঞ্জে উপবৃত্তি বাস্তবায়ন ও মনিটরিং প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত  ডুমুরিয়ায় তাল গাছ থেকে পড়ে এক মজুরের মৃ ত্যু আগামী ২১মে দেবহাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে শেষ মুহূর্তে প্রচারনা  বিশিষ্ট সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ এর সুস্থতা কামনা ডুমুরিয়ায় ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি অত্যাধুনিক সেবা দিতে রোস্তম মেডিকেল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উদ্বোধন

ডুমুরিয়ায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্তভূক্তি বিষয়ক মতবিনিময়

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া, খুলনা প্রতিনিধি  / ১৩২ দেখেছেন:
পাবলিশ: বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪
পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্তভূক্তি বিষয়ক মতবিনিময়

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন ও বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রকল্প উন্নয়ন কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্তভূক্তি বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় । বৃহস্পতিবার সকাল১১টায়‌ ডুমুরিয়া উপজেলা অফির্সাস ক্লাবে মতবিনিময়্ সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন, বক্তব্য দেন ডুমুউপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এস এম আশিষ মোমতাজ, ডুমুরিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বিশ্বাস উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম কামরুজ্জামান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রিনা মজুমদার,হারুন অর রশিদ, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন ও বাংলাদেশের উন্নয়নের বিভাগীয় সমন্বয়কারী মানিক রন্জন দাস জেলা বলেন্টিয়ার কিশোর কুমার মন্ডল প্রমুখ।

বক্তব্য বক্তরা বলেন একটি সুদীর্ঘ সময় পার বাংলাদেশে বসবাসকারী এই ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠীগুলোর নিজস্ব জা রয়েছে। এয়াড়ার বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য লংশাক প্রতিবন্ধী বাক্তি রয়েছে যারা নিজ পরিবারসহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্য ও বঞ্চনায় শিভার হয়ে থাকে। ১৯৭২ এর ডিসেম্বর এ গৃহীর ব্যাপদেশের সংবিধান দেশের সকল নাগরিকের জন্য সমান অধিকার এবং সুযোগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বংলাদেশে স্বীকৃত কোন পরিসংখ্যান না থাকলেও বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্যের ভিত্তিতে আসা যায় বাংলাদেশে প্রায় ৬৫ পেশাদার দিক থেকে এই জনগোষ্ঠীর মানুষ পরিক্ষার পরিচয়, ডোম, চামড়ার আম, জুতা সেলাই, ক্ষৌরকাজ, মায় শিকার, মধুসহ শুকর পালন, বেঁদে, চা-শ্রমিক, শিকারীসহ কাজের সাথে জড়িত।

 

বাংলাদেশে দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী পরিচয়ে প্রায় ৮০টিরও অধিক জাতিগোষ্ঠী দেশের বিভিন্ন শহর ও গ্রামাঞ্চলে বাস করছে। ২০১১ সালের আসময়মতীর প্রথ্য অনুযায়ী বাংরাদেশে প্রায় ১৩ পক্ষ সমতলের ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠী রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ১২,০০০ হিজ্ঞড়া ও ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠী রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের তথ্য অনুযায়ী দেশে বর্তমান প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী রয়েছে প্রায় ২০,০৮০০০ জন।

 

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মানুষ প্রতিনিয়তই আর্থ-সামায়িক রাজনৈতিক- সাংস্কৃতিকভাবে বঞ্চিত ও বৈষমোয় শিকার এবং সামাজিক ভাবে স্বীকৃত তথাকথিত কিছু নিচু পেশা গ্রহণে বাধ্য হয়। এছাড়াও বিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার জনগোরী হাট বাজার থোক তেলা উঠানো, শিশু নাচানো ইত্যাদি কাম করে কোনরকমে জীবিকা নির্বাহ করে। জন্ম, পেশা, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠী গুলো সরকারী বিভিন্ন সেবাপ্রাপ্তি এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে অংশাহণের ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হয়।

 

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহনকে সক্রিয় করা এবং বিভিন্ন সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণ করার লক্ষ্যে ক্রিশ্চিয়ান এইড এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় নাগরিক উদ্যোগ বাংলাদেশের ৮টি জেলার (খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, রাজশাহী, নওগাঁ, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ) ৭২টি উপজেলার ৪০০টি ইউনিয়নে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন ও বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রকল্প শিরোনামে একটি
প্রকল্পের কাজ শুরু করে।। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি সমাজের সাধারণ মানুষের নেতিবাচক ধারণা পরিবর্তনের পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে তাসের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সচেতনতামূলক এবং এডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে নির্বাচিত কিছু সংখ্যক
প্রতিনিধিকে প্রশিক্ষনের মাধামে মানবাধিকার, নেটওয়ার্কিং এবং সুশাসন বিষয়ক দক্ষতা উন্নয়ন। এছাড়া পিছিয়ে পড়া জনগোত্রীদের সহায়তায় কর্মরত স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সংস্থার সক্ষতা উন্নয়ন এবং তাদের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক ও এডভোকেসি কার্যক্রম আয়োজন।

ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর পিছিয়ে পড়ার কারণ চিহ্নিতকরণ এবং তাদের এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে উপজেলা, জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ের দায়িত্ববাহকদাদের সাথে সংলাপ আয়োজন। উপরন্তু কোভিড- ১৯ অতিমারীর কারণে অর্থনৈতিকভাবে পরিগ্রস্ত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে চাহিদার ভিত্তিতে বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে তাদের জন্য বিকল্প আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করা।

 

উক্ত উপজেলার উপরোল্লেখিত ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর লোক বাস করেন। জাত-পাত ও পেশাগত পরিচয়ের কারণে এই সকল এলাকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর লোকজন প্রতিনিয়ত দারিদ্রাতা এবং নানাবিধ সামাজিক বৈষম্যের শিকার হয়।
উক্ত উপজেলার উল্লেখিত ইউনিয়নসমূহ এই প্রকল্পের কর্মএলাকার অন্তর্ভুক। বর্তমানে এই ইউনিয়নসমূহতে অধিকারকর্মী (চেইঞ্জ এজেন্ট) পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার বিষয়ক সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সরকারী সেবাসমূহে তাদের অভিগম্যতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

 

এছাড়াও স্থানীয় সরকার এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি কোন নির্যাতন এবং বৈষমোর ঘটনা প্রতিকারে তারা কাজ করে যাচ্ছে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নিজেদের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী করার লক্ষ্যে তাদের নিয়ে ইউনিয়নভিত্তিক কমিটি (সিবিও কমিটি) গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির প্রতিনিধির মাধ্যমে তারা নিজ নিজ সম্প্রদায়ের সমস্যাসমূহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরে প্রতিকার চাইতে পারছেন। অনুষ্ঠান সার্বিক সন্চালনা করেন শিল্পী গাইন।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com