আশাশুনিতে জনগণের জানমাল রক্ষা সহ পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। শনিবার বিকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে আশাশুনির দায়িত্বে কর্মরত মেজার মারুফ এর নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা বিরতিহীন ভাবে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে টহল জোরদার করেছে। ফলে উপজেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।
সে কারণে সাধারণ মানুষ নিরাপদে নির্ভয় চলাফেরা করছেন।
তাছাড়া এলাকার বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ অভিযোগকারীদের উপস্থিতিতে সে বিষয়গুলো সমস্যার সমাধানপূর্বক এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ আসামী গুলো থানা হেফাজতে রাখা হয়। যাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাদেরকে বলা হয় এরপরে জনগণ যদি কোন অভিযোগ করে তাহলে কোনরুপ ছাড় দেওয়া হবে না। তাদেরকে কঠোর ভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দায়িত্বে কর্মরত মেজর মারুফ বলেন সার্বক্ষণিক জনগণের জানমাল রক্ষায় নিরাপত্তা দিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্য বৃন্দ মাঠে রয়েছে। কোনভাবেই সহিংসতা করতে দেওয়া হবে না। যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কোন ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে সেনাবাহিনী সহ থানা পুলিশকে অবহিত করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জনগণকে সচেতন করতে ও দুর্বৃত্ত দুষ্কৃতকারীদের ধরিয়ে দিতে মাইকিং প্রচার অব্যাহত রয়েছে। কোন স্থানে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে থানায় এসে অভিযোগ করবেন।
https://www.kaabait.com