• মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৫৮
সর্বশেষ :
তালা হাসপাতালে রোগী নেওয়ার নাম করে ভ্যান চু’রি ব্রিটিশ শাসনামল ১৮৬৭সালে প্রতিষ্ঠিত পৌরসভা আবারো ফিরে পাওয়ার দাবী কালিগঞ্জে ধুলিয়াপুর হাইস্কুলে দু’র্নী’তি প্রতিরোধ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত আলোচিত-সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি গ্রে’ফ’তা’র শ্যামনগরে নদীর চর দ’খ’ল করে গড়ে তোলা রিসোর্ট উচ্ছেদ করলো প্রশাসন আশাশুনিতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের মূল্যায়ন ও সমাপনী সাতক্ষীরা সীমান্তের ওপারে আ’ট’ক এএসপি আরিফুজ্জামান শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরের বরসা রিসোর্ট সেন্টারের পুকুরের পানিতে ডু’বে যুবকের মৃ’ত্যু আপডেট: তালায় যুবদল নেতাকে জ’বা’ই করে হ’ত্যা: আ’ট’ক ২

আপডেট: তালায় যুবদল নেতাকে জ’বা’ই করে হ’ত্যা: আ’ট’ক ২

অনলাইন ডেস্ক / ৯৭ দেখেছেন:
পাবলিশ: শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শামীম হোসেন (৩৩) কে নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই যুবককে আটক করেছেন।

 

আটককৃতরা হলেন- মনিরামপুর উপজেলার কন্দবপুর গ্রামের আবুবক্কার দফাদারের ছেলে ইজাজুল ইসলাম (৪৩) ও তালা উপজেলার বলরামপুর গ্রামের আহম্মদ আলী সরদারের ছেলে শরিফুল ইসলাম সরদার (৩৮)। পুলিশ নিহত শামীমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছেন।

 

জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারো মাইল গ্রামের গফফার শেখের ছেলে এস এম শামীম (৩৫)। দুই বছর আগে আঠারোমাইল বাজারে মোটরসাইকেল মিস্ত্রির কাজ করতেন তিনি। তাদের তিনতলা বিশিষ্ট বাড়ির নিচতলা ভাড়া দেওয়া। সেখানে ভাড়াটিয়ারা থাকেন। ২য় তলায় থাকতেন শামীম ও তার পরিবার। ভবনের তিনতলায় কেউ থাকতেন না। প্রায় ২৫ বছর আগে তালার উথালিগ্রাম থেকে আঠারোমাইল এসেছেন তারা।

 

শামীমের মাতা রশিদা বেগম জানান, প্রতিরাতে বহিরাগত লোক আসতো তাদের বাসায়। শুনেছি ওরা মাদকের নেশা করত। ঘরে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে আনন্দ উল্লাস করত। সেখানে পরিবারের কাউকে যেতে দিত না। ঘটনার রাতে এজাজুল ও শরিফুল নামের দুই ব্যক্তি এসেছিল। প্রায়ই তারা আসতো। কেন আমার ছেলেকে হত্যা করেছে আমি কিছুই বলতে পারলাম না বলে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা রশিদা বেগম।

 

শামীমের একমাত্র ছেলে তাজ (১২) পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। ঘটনার বিষয়ে সে জানায়, শামীম ও এজাজ বাবার সাথে তিনতলায় ছিলো। ওরা প্রায়ই আসতো। আমি বাবাকে নিষেধ করতাম, কিন্তু তিনি শুনতেন না।

 

শামিমের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি জানান, স্বামীকে নেশা করতে বহুবার বারণ করেছি। কিন্তু সে আমাদেরকে ধমক দিত। মা বলতেন (শ্বাশুড়ি) ওকে কিছু বলো না। মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটা থেকে এগারোটার মধ্যে স্বামীকে হত্যা করেছে।

 

এ বিষয়ে ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাসুদ রানা জানান, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় শামীম হত্যার শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় শরিফুল ও আজিজুল নামের দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে শামীমের পরিবার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com