• রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০২:৩৮
সর্বশেষ :
শ্যামনগরে প্রতিবন্ধীর জায়গা দ খ লের অপচেষ্টা, মা ম লা দেবহাটায় ডাঃ শহিদুল আলমের ৩১দফা বাস্তবায়নে প্রচারনা শুরু মণিরামপুরের যমযমিয়া দাখিল মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি মনোনয়নকে কেন্দ্র করে তোপের মুখে সুপার খেশরায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ বিএনপি মাটি ও মানুষের দল, নেতা নির্ভর দল নয়- নিতাই রায় চৌধুরী বিএনপি ক্ষমতায় আসলে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে: ডা. শহিদুল আলম তালায় সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলামের অংশগ্রহণে জগন্নাথ রথযাত্রা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অবৈধ ইটের পাঁজায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডোপ টেস্ট করা হবে–জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালা

তেলের দাম কমেছে ইরানের হামলার পর

প্রতিনিধি: / ১৫৮ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪

বিদেশ : ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাবে, এমন ধারণাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে বিপরীত ঘটনা। সামান্য হলেও কমে গেছে তেলের দাম। সোমবার সকালে এশিয়ান ট্রেডে এই কম মূল্যের প্রবণতাই দেখা গেছে, যদিও সেটা প্রতি ব্যারেল ৯০ ডলারের কাছাকাছিই ছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। তবে এটাও ঠিক, ইসরায়েলের ওপর ইরান আক্রমণের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই তেলের দাম ওর নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছিল। গত ছয় মাসের মধ্যে গত সপ্তাহে তেলে দাম ছিল সর্বোচ্চ। গত সপ্তাহের শেষে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ৯২ দশমিক ১৮ ডলার পর্যন্ত হয়েছিল। গতবছরের অক্টোবরের পর থেকে ধরলে সেটা ছিল সর্বোচ্চ। এরপর থেকে কমতে কমতে সেটা ৯০ দশমিক ৪৫ ডলারে নেমেছিল। গতকাল সোমবার সকালে সেটা আরও ২০ থেকে ৩০ সেন্ট কমেছে। ইরান বর্তমানে প্রতিদিন ৩০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করে থাকে। তেল উৎপাদনের ক্ষেত্রে ওপেকভ‚ক্ত দেশগুলোর মধ্যে ইরানের অবস্থান চতুর্থ। বিশ্বের মধ্যে সপ্তম। ইসরায়েলে হামলার পর থেকে সবসময়ই একটা পাল্টা আঘাতের আশঙ্কায় রয়েছে ইরান। সে আঘাত ইরানের তেলক্ষেত্রের ওপরও হতে পারে। এসব বিবেচনায় তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে ইরান এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করবে। বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্ববাজারে তেলে দাম বাড়া-কমার ক্ষেত্রে হরমুজ প্রণালী একটা গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। বিশ্বের ২০ শতাংশ তেলবাহী জাহাজ এই সমুদ্রপথ দিয়েই চলাচল করে। ওপেকভ‚ক্ত দেশ সৌদি আরব, ইরান, আরব আমিরাত, কুয়েত এবং ইরাক তাদের বেশির ভাগ তেল এই পথেই রপ্তানি করে। ওমান ও ইরানের মধ্যেকার সংবেদনশীল এই সমুদ্রপথটি শান্তিপূর্ণ থাকলে কমে যায় তেলের দাম। গত শনিবার ইরান হরমুজ প্রণালী দিয়ে যাওয়ার সময় একটি বাণিজ্যিক জাহাজকে আটক করে। তাদের অভিযোগ ছিল জাহাজটি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত। ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে এই হরমুজ প্রণালী কতটুকু নিরাপদ থাকবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের। এসব কারণেই, গতকাল সোমবার হঠাৎ করেই তেলের দামে এই সামান্য মূল্যহ্রাসকে বিশেষজ্ঞরা অবশ্য অত বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাদের মতে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে পাল্টা হামলা হলেই তেলের দাম আশঙ্কাজনকভাবেই বেড়ে যাবে।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com